লকডাউনকালে গরিব ও অসহায়দের ঘরে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে এই আহ্বান জানানো হয়।
গতকাল শনিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এই ভার্চুয়াল বৈঠকে হয়। পরে আজ রোববার দলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের চরম উদাসীনতা ও অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতির কারণে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা মনে করেন, ঘোষিত লকডাউনের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। তা না হলে সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও এমন পরিস্থিতিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান কীভাবে হলো?
মহামারির এমন পর্যায়ে এসে এসব অনুষ্ঠান সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা ছাড়া কিছু নয় উল্লেখ করে দলটির নেতারা বলেন, তখন সংক্রমণ বড়লেও সরকার অনুষ্ঠানের জন্য চুপ ছিল। আর এখন যেভাবে লকডাউন দিয়েছে, সেটা বিজ্ঞানসম্মত নয়। এতে গরিব-অসহায় মানুষের কষ্টই হবে।
নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলন দমনে সরকার নিপীড়ন চালিয়েছে উল্লেখ করে ভার্চুয়াল প্রতিবাদ সভায় দলটির নেতারা দাবি করেন, অচিরেই বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর থেকে ষড়যন্ত্রমূলক সব মিথ্যা মামলা তুলে নিতে হবে।
সভায় পবিত্র রমজানের আগেই টিসিবির দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি এবং গণপরিবহণের ভাড়া ৬০ ভাগ বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী হিসেবে আখ্যা দেয় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। সভায় অবিলম্বে ভুর্তকির মাধ্যমে দ্রব্য মূল্য হ্রাস এবং গণপরিবহনের ভাড়া কমানোর জন্য সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি কর্তৃক ফেসবুকসহ সব ধরনের ডিজিটাল প্লাটফর্ম নিয়ন্ত্রণে সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একদিকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে মত প্রকাশের অধিকার খর্ব করা অন্যদিকে প্রযুক্তির মাধ্যমে জনগণের সংবিধান সম্মত মৌলিক অধিকার হরণ করার জন্য সরকারকে ধিক্কার জানানো হয়।
সভায় অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ।





