প্যাসিফিক অঞ্চলের ১০ ‘দেশ’ ফিজি, সামোয়া, টোঙ্গা, কিরিবাতি, পাপুয়া নিউ গিনি, ভানুয়াতু, সোলোমন আইল্যান্ড, নিতু, কুক আইল্যান্ড এবং ফেডারেল স্টেটস অব মাইক্রোনেশিয়ার সঙ্গে একটি নিরাপত্তা চুক্তি করতে চাইছে চীন।
এ চুক্তি নিশ্চিত করতে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি নিয়ে ফিজিতে যান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং উই।
নিরাপত্তা চুক্তির মধ্যে ছিল, প্যাসিফিক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এ ১০ দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে সহযোগিতা করা এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি করা।
তবে প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হবে এ আশঙ্কা থেকে চীনের সঙ্গে শান্তি চুক্তির ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি তারা। খবর আল জাজিরার।
চীনের লক্ষ্য হলো প্যাসিফিক অঞ্চলে তাদের কর্তৃত্ব স্থাপন করা। এ বিষয়টি নিয়ে নিজেদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ১০টি দেশে চীনের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি না করতে চাওয়া চীনের জন্য বড় একটি কূটনৈতিক ধাক্কা।
স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে দেশগুলো এমন আশঙ্কা করার পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এশিয়া, আফ্রিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে উন্নতি সাধনে চীন বিশ্বস্ত বন্ধু।
তিনি দেশগুলোর উদ্দেশে বলেন, ভয় পাবেন না, আতঙ্কিত হবেন না। কারণ চীনের ও এবং বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়ন হবে একতান, সুবিচার এবং পুরো বিশ্বের জন্য ভালো।
এদিকে ১০টি দেশের কাছে পাঠানো এ চুক্তির একটি খসড়া গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।
সেখানে দেখা যায় এ চুক্তির মাধ্যমে চীন স্থানীয় পুলিশকে প্রশিক্ষণ, সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানো, রাজনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করা, সংবেদনশীল সমুদ্র ম্যাপ করা, দেশগুলোর প্রাকৃতিক সম্পদ, জমি ও পানির ওপর চীনের অত্যাধিক প্রবেশের প্রস্তাব দিয়েছিল।
ফিজির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তারা বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে আসেন। সেখানে প্রায় ৩০ মিনিট কথা বলেন। কিন্তু সাংবাদিকরা প্রশ্ন শুরু করলে তারা চলে যান। তবে বোঝা যাচ্ছিল ওই দেশগুলো চীনের সঙ্গে চুক্তিতে সম্মত হয়নি। সূত্র: আল জাজিরা