মো: আসলাম হোসাইন: ফের বি এস এফের গুলিতে মৃত্যু হল একজন মানুষের। আবারও ঘটনাস্থল কোচবিহারের সিতাই বিধানসভা। শনিবার গভীর রাতে এই বিধানসভার অন্তর্গত চামটা এলাকার পদ্মা বর্ডারে বিএসএফের গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সিরাজুল হক। পিঠে গুলি লাগে ওই ব্যক্তির। এর জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সিরাজুলের।
বিএসএফের দাবি, গতকাল রাতে বেশ কয়েকজন পাচারকারী বাংলাদেশে গরু পাচারের উদ্দেশ্যে সীমান্তে জড়ো হয়েছিলেন। তারা কোনওভাবে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেন। বিষয়টি নজরে আসতেই বিএসএফ জওয়ানরা তাদের ধাওয়া করেন। সেই সময় সিরাজুলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ। কিন্তু, ততক্ষণে সিরাজুল বাংলাদেশের মধ্যে প্রবেশ করে যায়। ফলে বাংলাদেশেই তার মৃতদেহ পড়ে থাকে। পরে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সিরাজুলের মৃতদেহ বিএসএফের হাতে তুলে দেয়।বিএসএফের পক্ষ থেকে দেহ তুলে দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশের হাতে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে সিরাজুলের পরিবারে। মৃতের মেয়ের কথায়, ‘আমার চারটে ছোট ভাই রয়েছে তারা এখন কী খাবে! কীভাবে সংসার চলবে জানি না। বাবাই সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন। গতকাল রাতে কে বা কারা বাবাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল তা কিছুই জানিনা। আমরা চাইছি সরকার আমাদের ক্ষতিপূরণ দিক।’
এই ঘটনায় বিএসএফের ভূমিকার কড়া নিন্দা করেছেন সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে তিনি সরব হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই চোরাচালানের নাম করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। নির্দোষ মানুষদের গুলি করে খুন করছে। তাছাড়া কৃষকদের চাষে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’