নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাতকে চেয়ারম্যান নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই বিরোধী প্রার্থীর সমর্থনে ভিন্ন ভিন্ন নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে একই দিনে। দুই সভা থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের কারনে এলাকায় নেতা কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, আগামী ১১ নভেম্বর ছৈলা আফজল আবাদ ইউনিয়ন নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় লাকেশ্বর বাজারে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ শফিকুল হকের সমর্থনে গত ২ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা ৩টায় এক নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব নির্ধারিত ওই সভায় শফিকুল হক বিরোধী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান গয়াস আহমদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও বিভিন্ন দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। এই খবর গয়াস আহমদের সমর্থিত নেতা কর্মীদের কাছে পৌছলে তারা ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় শফিকুল হকের বিরুদ্ধে লাকেশ্বর বাজারে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। সেখানে তারা শফিকুল হককে জামায়াতের দালাল এবং শিবির ক্যাডারের সহায়তায় এলাকায় কাজ করছে বলে অভিযোগ করা হয়। আর একারনে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ শফিকুল হক পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ঠ মুরুব্বি বড় পলির গাও নিবাসী তারিছ আলী সাহেব। এতে ইউনিয়ন ও বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত শফিকুল হকের সমর্থিত ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কহল্লা গ্রামের নেপাল দেবনাথ এবং বড় পলির গাওঁয়ের সাজলুজ্জামান (দুদু)। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ শফিকুল হক ইউনিয়ন নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী গয়াছ আহমদের বিভিন্ন দুর্নীতির কথা ইউনিয়নবাসীর সামনে তুলে ধরেন। বিশেষ করে সরকারী রিলিফের চাল চুরি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার গৃহহীন মানুষের জন্য সরকারী ঘর নির্মানে স্বজন প্রীতি, ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার কাজে টাকা আত্নসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতি। গয়াস আহমেদকে ছাতক থানার সরকারী দলের দালাল বলে আখ্যায়িত করেন।
শফিকুল হকের বক্তব্যে খবর আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী গয়াছ আহমদের নেতা কর্মীরা জানলে তারা ওই দিন সন্ধ্যায় এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এতে আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান গয়াস আহমদের নেতা কর্মীরা শফিকুল হককে রাজাকারদের দালাল ও জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে আখ্যা দেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গয়াস আহমদ বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল হকের পক্ষে থেকে মিথ্যা সব অভিযোগ করা হয়।
সভায় গয়াস আহমদ বলেন, শফিক নির্বাচনে এসেছে জামায়াতে ইসলামের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। এছাড়া তাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন শিবির ক্যাডার লন্ডন প্রবাসী ইসতিয়াক আহমদ , মঈনুল ইসলাম, সৌদি প্রবাসী মাসুম আংগুরসহ আরও অনেকে। একই সাথে তারা ফেইসবুক পেইজ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করতেছে। একারনে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশেষ করে শিবির নেতা ইসতিয়াক , মাসুম, ফরহাদ, আর , . . , যদি কখনো দেশে আসে তবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই দলীয়ভাবে ও আইনীভাবে জবাব দেওয়া হবে। গয়াস আহমদ ইউনিয়নবাসীর উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা যেনো শফিকুল হক ও জামায়াত শিবিরের কথায় বিভ্রান্ত না হন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে গয়াস আহমেদকে ভোট দিয়ে জয়ী করে অপপ্রচারের জবাব দেওয়ার জন্য।
