শিরোনাম
বৃহঃ. ডিসে ৪, ২০২৫

ছাত্রদল নেতা জিসান ও আরিফ বিল্লাহকে বারবার রিমাণ্ডে নির্যাতনে ১৬ মানবাধিকার সংগঠনের উদ্বেগ

লণ্ডন, ২৩ আগস্ট: ছাত্রদলের ৬ নেতাকে প্রথমে তুলে নিয়ে গুম করা এবং পরবর্তীতে অস্ত্র হাতে ধরিয়ে মামলা দিয়ে ২ জনকে দিনের পর দিন রিমান্ডে নেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ১৪টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন।

গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ১৪ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বুধবার (২৩ আগষ্ট ২০২৩) এক বিবৃতিতে বলা হয়, দিনের পর পর দিন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করার অভিযোগ বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে রয়েছে। এই ১৪ সংগঠন মনে করে দুই ছাত্রনেতাকেও তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করতেই রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

বিবৃতিতে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের একটি নির্দেশনাকে উল্লেখ করে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আইনজীবীকে সামনে উপস্থিত রাখতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনায়। বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনার প্রসঙ্গে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম অনুসরণ করার জন্য সুপ্রিমকোর্ট এই সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিল, সেগুলো ডিবি ও পুলিশ মানছে না। সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তাদের সাংবাবিধানিক ও আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই ঘটনা ছাত্রদল নেতা জিসান এবং আরিফ বিল্লাহ’র ক্ষেত্রে ঘটছে।


বিবৃতিতে ১৪টি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইতোমধ্যে র্যাবের উর্ধ্বতন ৭জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো অব্যাহতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

৬ ছাত্রনেতাকে তুলে নিয়ে ৩০ ঘন্টা ধরে অস্বীকার করে বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে ডিবি। পরবর্তীতে একতরফা তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র উদ্ধারের কাহিনী প্রচার করে তাদেরকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এই একতরফা প্রচারনা চালিয়ে সামাজিকভাবে তাদের সম্মানহানি ঘটানো আইনের লঙ্ঘন।

সংগঠনগুলোর বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ প্রচলিত আইন ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ৩০ ঘন্টা গুম করে রাখা এবং অস্ত্র উদ্ধারের এক তরফা বর্ণনা মানবাধিকারের পরিপন্থি।


বিবৃতিতে মানবাধিকার সংগঠন গুলো অবিলম্বে রিমাণ্ড বাতিল করে তাদেরকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবী জানিয়েছে।

বিবৃতিদাতা সংগঠন গুলো হচ্ছে-Citizen Movement UK, Society for Democratic Rights (SDR), NIRAPAD BANGLADESH CHAAI UK (NBC), Fight for Rights International, Humanity Club Euro BD, Justice for Bangladesh, International Democratic Forum, Online Activist Forum UK, Solidarity for Human Rights UK, Rights Concern, Rights Movement UK, Stand for Bangladesh, Peace for Bangladesh, Centre for Democracy and Good Governance, Support Life UK, Universal Voice for Justice, Voice for Justice and Right, Voice for Justice & White Pigeon International, Equal Rights International (ERI), Universal Voice for Human Right. প্রেস বিজ্ঞপ্তি

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *