ঢাকা অফিস: ছাদ চুইয়ে পানি পড়ার কারণে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারকাজ ব্যহত হওয়ার পর সংস্কার শুরু হয়েছে। আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচারকক্ষের (এজলাস) ছাদসহ বারান্দার ছাদেরও সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এক নম্বর বিচার কক্ষে বিচারকাজ পরিচালনা করে থাকেন।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে প্রধান বিচারপতির ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বিচারপতিরা বিচারে বসলে এক বিচারপতির আসন বরাবর ছাদ চুইয়ে পানি পড়তে শুরু করে।
বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে আসার পর বিচারকাজ মুলতবি করে বিচারপতিরা তাঁদের খাস কামরায় চলে যান। কিছুক্ষণ পরই অবশ্য তাঁরা এজলাসে ফিরে এসে বিচারকাজ পরিচালনা করেন।
সুপ্রিম কোর্টের এক কর্মকর্তারা জানান, ‘সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি এজলাসে বসেন। তখন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের আসন বরাবর ছাদ চুইয়ে পানি পড়ছিল।
বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিচারকাজ মুলতবি করা হয়। বিচারপতিরা তাদের কামরায় চলে যান। পৌনে ১০টায় এজলাস ছেড়ে যাওয়ার ১৫ মিনিট পরই প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি এজলাসে ফিরে বিচারকাজ পরিচালনা করেন। যে জায়গাটায় পানি পড়ছিল, সেখান থেকে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের আসন সরিয়ে দেওয়া হয়।
পরে বেলা ১টা পর্যন্ত আপিল বিভাগের বিচারকাজ চলে।’
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিষয়টি (ছাদ চুইয়ে পানি পড়া) জানান সঙ্গে সঙ্গে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার নেতৃত্বে একটি টিম এসেছিলেন। তিনি চলে যাওয়ার পর পরই সংশ্লিস্ট এজলাস কক্ষের ছাদের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এক নম্বর এজলাস কক্ষের ছাদের সঙ্গে ভবনের বারান্দার ছাদেরও সংস্কার করা হবে।’
পুরোনো জলছাদ তুলে নতুন করে জলছাদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।