আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আগেও একাধিকবার এ শিবিরের ওপর আক্রমণ চালিয়ে কয়েকশ মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ৩১ অক্টোবর, ২০২৩। ছবি: আনাস আল-শারীফ/রয়টার্স
গাজা উপত্যকার সর্ববৃহৎ শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন।
গাজা’র ইন্দোনেশিয়ান হসপিটাল-এর পরিচালক আল জাজিরাকে বলে, উত্তর গাজার ঘনবসতিপূর্ণ জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০-জনের বেশি নিহত ও দেড়শ-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সশস্ত্রবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েলি বাহিনী বর্তমানে গাজার অভ্যন্তরে আরও এগিয়ে যাচ্ছে। গাজার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি ট্যাংক পৌঁছানোর পর ভারী সংঘর্ষের কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্যালেস্টাইনিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি-এর একজন মুখপাত্র আল জাজিরাকে বলেন, তাদের দল বর্তমানে শরণার্থীশিবিরটিতে কাজ করছেন এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করছেন।
‘পরিস্থিতি একেবারেই ভয়ানক,’ রামাল্লা থেকে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যমটিকে বলেন নেবাল ফারসাখ। গাজা’র আটটি শরণার্থীশিবিরের মধ্যে সবচেয়ে বড় জাবালিয়া।
জাবালিয়ার বাসিন্দা রাগেব আকাল বিমান হামলাকে ‘ভূমিকম্পের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন। হামলায় পুরো ক্যাম্প কেঁপে ওঠে বলে জানান তিনি।
‘আমি বেরিয়ে দেখলাম সব বিধ্বস্ত… ধ্বংসস্তূপের নিচে বাড়িগুলো পড়ে রয়েছে আর বেশ বড় সংখ্যায় শরীরের বিচ্ছিন্ন অঙ্গ, শহীদ ও আহতরা,’ বলেন তিনি।
১ দশমিক ৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ শিবিরটিতে জাতিসংঘের তথ্যমতে প্রায় এক লাখ ১৬ হাজার নিবন্ধিত শরণার্থী রয়েছেন।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আগেও একাধিকবার এ শিবিরের ওপর আক্রমণ চালিয়ে কয়েকশ মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।