আবদুল ওয়াহিদ তালিম, লণ্ডন: যুক্তরাজ্য সফর শেষ করে ২১ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ১২ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির যুক্তরাজ্য সফর করেন। এসময় তিনি দলীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ওল্ডহামে ওয়েল ফেয়ার বিডি আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদান
১২ নভেম্বর মঙ্গলবার দেশ থেকে এসে যুক্তরাজ্যের নর্থ ইংল্যান্ডের ওল্ডহাম শহরের স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ওয়েল ফেয়ার বিডির উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান অংশ নেন। দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে আসার পর এটিই ছিলো তার প্রথম অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে নেতাকর্মী এবং শুভাকাঙ্খীদের ভীড় ছিল লক্ষ্যণীয়। অনুষ্ঠানে জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমানের বক্তৃতা চলাকালে কোলাহল পূর্ণ পরিবেশে পিনপতন নীরবতা নেমে আসে। র্দীঘ বক্তৃতা এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব গভীর মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেন উপস্থিত প্রায় ৬ শতাধিক শ্রোতা। জামায়াতের আমির তাঁর বক্তব্যে বলেন, ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালে লগি-বৈঠার তান্ডবের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে পথহারা হয়েছিল, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আবার পথ ফিরে পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী যারা গণহত্যা এবং জুলুম নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিচার এ সরকারকে শুরু করতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর ১১ জন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচজনকে ফাঁসি এবং ছয়জনকে জেলখানার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রমকে পর্যবেক্ষণ করতে সবার প্রতি আহবান জানিয়ে আরো বলেন, এমন কোনো কাজ যদি দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষতির কারণ হয়, দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে সংশোধনের উদ্দেশ্য উত্তম পরামর্শ দিবেন। দ্বীনের ন্যায় সঙ্গত কাজে অতীতে যেভাবে সহযোগিতা পেয়েছেন সবার কাছ থেকে, সেটা অব্যাহত রাখতেও অনুরোধ করেন।এছাড়া তিনি দলীয় নেতাকর্মী এবং শুভাকাঙ্খীদের পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার কথা উল্লেখ করে বলেন, উপযুক্ত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই শান্তিময় জীবনযাপন সম্ভব হবে। বৃটেনে যারা বসবাস করছেন, তাদেরকে তিনি এ দেশকে সম্মান, দেশের আইন, সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় অবদান এবং সামাজিক উন্নয়নে অংশগ্রহণ করার উপদেশ প্রদান করেন। ওল্ডহামে তাঁর এই বক্তব্য প্রশংসিত হয়েছে।
ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে মতবিনিময় সভা
১৩ নভেম্বর, বুধবার লন্ডনে একটি স্থানীয় হলে তিনি ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের (বিবিসিসিআই) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন,আমরা ইউনাইটেড বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমি বার বার ফ্যাসিজম আর ফ্যাসিস্ট সরকার (আওয়ামী লীগ সরকার) এটা বলাও পছন্দ করি না। কারণ ওরাওতো (আওয়ামী লীগ) আমাদের পরিবারের সদস্য। রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। তিনি বলেন, আমি কোনো মৌলবাদী মুসলমান না, আর মৌলবাদ খারাপ কিছু নয়। মূল না থাকলে গাছের অস্তিত্ব টিকবে না। মূল আমাদের লাগবে। তবে যে সেন্সে মৌলবাদ বলা হয়, আমি ওই মৌলবাদী মুসলমান না। আমি বারবার একটি কথা বলে আসছি, যদি মসজিদ পাহারা দেওয়ার দরকার না হয়, তাহলে মন্দির পাহারা দেওয়া লাগবে কেন? নিশ্চয়ই এমন একটি কাজ আমরা করেছি, যার কারণে মন্দির পাহারা দেওয়া লাগে। সেই কারণটি দূর করতে হবে; যাতে কারো কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পাহারা দেওয়া না লাগে। তিনি আরো বলেন, ভুল মানুষই করে, দুর্নীতিও মানুষ করতে পারে। ভুল যে করবে সে ক্ষমা চাইবে, দুর্নীতি যারা করবে তারা শাস্তি পাবে। ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সে শাস্তি পাবে কোনো অবিচার করে নয়। কারো ওপর জুলুম করে নয়। বারবার তাদের গালি দিতে হবে, আমি এটাকে ভালো মনে করি না। অতীতে যারা রাজনীতি করে গেছেন তারা ভুল করুক আর শুদ্ধ করুক তারা তো করে গেছেন, এখন আমরা কী করবো সেটা ভাবি। শুধু তাদের পেছনে পড়ে থাকলে আমাদের লাভ কী হবে? তারা যা করেছেন এর সাক্ষী জাতি হয়ে গেছে। জামায়াত আমিরের এমন বক্তব্যে কমিউনিটিতে অসন্তোষ চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় বয়ে গেছে। অবৈধ ও অনৈতিক আওয়ামী লীগ সরকার দেশে যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিলো, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচারী সরকার যে মানুষের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করেছিলো, গুম-খুন, লুটপাট সহ যে ভয়াবহ অপকর্মের নজির স্থাপন করেছিলো, তাতে তারা কোনভাবেই সহানুভূতি পেতে পারে না- এমনটাই মনে করছেন নেটিজেনরা। এমনকি ডাঃ শফিকুর রহমানের মন্তব্যে জামায়ত সমর্থকদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
পূর্ব লন্ডনের রয়েল রিজেন্সিতে নাগরিক সংবর্ধনা
১৭ নভেম্বর লন্ডনের রয়েল রিজেন্সি হলে তিনি এক নাগরিক সংবর্ধনায় অংশ নেন। নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচারকৃত টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনার বিষয়ে আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। পাচারকৃত টাকা ফেরত পেলে বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে। বিবিসিসিআই এর সভায় দেয়া তাঁর বক্তব্যের যুক্তি খন্ডন করে তিনি বলেছেন, সত্য একবার বললেই প্রতিষ্ঠিত হয় কারণ সেটা সত্য। আর মিথ্যা প্রতিষ্ঠিত করতে বারবার বলতে হয়। আওয়ামী লীগ আত্মস্বীকৃত ফ্যাসিস্ট। এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। ১৬ বছর দেশের মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগ যে আচরণ করেছে তার জন্য তাদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। তারা মানুষের অধিকারই শুধু হরণ করেনি, তারা দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছিল। তারা চোখের সামনে মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা চাই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের বিচার হোক। আমি নিজেও অন্যায় বিচারের একজন ভিকটিম। আমাকে গ্রেপ্তার করে বলা হয়েছে, আমি নাকি বিছানার নিচে ককটেল নিয়ে ঘুমিয়েছি! ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে সেনাবাহিনীর ৫৭ জন চৌকস কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ তাদের খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল। শফিকুর রহমান যুক্তরাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের দ্বারা নির্যাতিতদের আশ্রয় এবং নাগরিকত্ব দেওয়ায় আমি যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আশা প্রকাশ করছি আপনারা কোনো দুষ্কৃতিকারীকে প্রশ্রয় দেবেন না। তিনি আরো বলেন, আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিক স্বীয় মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করবে। যেখানে আমাদের নারীরা মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করবে। আমাদের বিশাল ম্যানপাওয়ারকে আমাদের জন্য আশির্বাদ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের এই বক্তব্য সর্বমহলে প্রশংসতি হয়েছে।
হাউজ অব কমন্সের সভা কক্ষে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা
১৮ নভেম্বর, সোমবার হাউজ অব কমন্সের কমিটি রুম ২এ তে লর্ড কার্লাইলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। উক্ত সভা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপিয়ান প্রতিনিধি আবু বকর মোল্লার আমন্ত্রণ পত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনার কথা বলা হয়েছে। আমন্ত্রণ পত্রে লেখা হয়েছে, Ameer (Leader) of the Jamaat political Party of Bangladesh to discuss the political and economic future of Bangladesh. অর্থাৎ আমন্ত্রণপত্রে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র নাম শুধু জামাত লেখা হয়েছে। ইসলাম বাদ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে কমিউনিটিতে হাস্যরস চলছে। আমন্ত্রণ পত্রের কপি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতাদের মোবাইল থেকে কমিউনিটির মানুষের মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে। বিশেষ অংশ আন্ডারলাইন করে লক্ষাধিক বার এটা শেয়ার করেছে। কেউ কেউ বলছেন, এটা অসচেতনতার জন্য হয়ে গেছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, এটা সচেতনভাবেই করা হয়েছে। ইসলাম থাকলে সমস্যা হতে পারে। এ কারণে খুব সচেতনভাবেই এটা করা হয়েছে। ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লার ভুল করার কথা না। তিনি জেনে বুঝেই এটা করেছেন। লর্ড কার্লাইলকে তিনি বোকা বানিয়েছেন।
গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি জামায়াত আমির
দেশে যাওয়ার আগে ১৯ নভেম্বর, মঙ্গলবার সর্বশেষ তিনি পূর্ব লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রবাসীরা রেমিটেন্সের মাধ্যমে জন্মভূমি বাংলাদেশকে বিপুল সহায়তা করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘মনিটারি রেমিটেন্সের পাশাপাশি বাংলাদেশকে ইন্টেলিজেন্স রেমিটেন্স পাঠানোর জন্যেও আমি প্রবাসীদের কাছে আবেদন রাখছি। ইন্টেলিজেন্স রেমিটেন্স বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বিরাটভাবে সহায়ক হবে। এভাবেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে প্রবাসীরা অপরিসীম অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।’ ফ্যাসিস্ট সরকারের লাগামহীন দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে পরিমাণ উন্নয়ন করা সম্ভব হতো, সেটা আসলে হয়নি। বাংলাদেশে একটি উন্নয়ন প্রকল্পে যে ব্যয় দেখানো হয়েছে, আমাদের অঞ্চলের অন্যান্য দেশে সে ধরণের উন্নয়ন প্রকল্প তার তিন ভাগের এক ভাগ ব্যয়েই সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের দেশে সময়মতো কোনো প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়নি, একের পর এক সময় বাড়ানো হয়েছে আর সেই সাথে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে প্রকল্পের ব্যয়। এভাবেই দেশটাকে লুটেপুটে নিঃস্ব করা হয়েছে। জাতিগতভাবে অনৈক্য এবং দুর্নীতির কারণে আমরা আগাতে পারিনি। দূর্ণীতি আমাদের জন্য একটি জাতীয় লজ্জার বিষয়। যুক্তরাজ্য নিজেদেরকে দূর্ণীতি থেকে অনেকটা মুক্ত রাখতে পারার কারণে সারা বিশ্বে নিজেদেরকে একটা মর্যাদাপূর্ণ স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছে। কিন্তু আমরা পারিনি। যারা সমাজ পরিচালনা করবেন তারা পরিচ্ছন্ন না হলে সমাজ পরিচ্ছন্ন হবে না। অনুষ্ঠানে জামায়াতে আমীর তাঁর বক্তব্যের জন্য প্রশংসিত হলেও ফ্যাসিবাদী সমর্থক সাংবাদিকদের নিমন্ত্রণ করায় ও খাবার পরিবেশনের সময় সাংবাদিকদের জন্য সাধারণ খাবার আর আমিরে জামায়াতের জন্য বিশেষ খাবার পরিবেশন করায় এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারী সকল সাংবাদিককে প্রশ্ন করতে না দেয়ার জন্য আয়োজকেরা নিন্দিত হন। ফ্যাসিবাদী সমর্থক সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়া হলেও সুরমা প্রতিনিধিকে প্রশ্ন করতে না দেয়ায় সঞ্চালক আবু বকর মোল্লা তীব্র সমালোচিত হন।
And last but not least, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও বিপ্লবে অসংখ্য প্রবাসী সমর্থন দিয়েছেন, অংশ নিয়েছেন। রেমিটেন্স বন্ধ করাসহ নানাভাবে তারা অবদান রেখেছেন। তবে এদের মাঝে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সর্বজনাব তারেক রহমান, হাসনাত আরিয়ান খান, শামসুল আলম লিটন ও শহীদ উদ্দিন খান সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও এর অন্যতম বড় বেনিফিসিয়ারী হয়েছেন, সুফল ভোগ করছেন। অথচ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও বিপ্লবে যে চারজন প্রবাসী সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন তাদেরকে একটু হ্যালো না বলেই, একটু শুভেচ্ছা না জানিয়েই দেশে ফিরে গেছেন। ২০ নভেম্বর, বুধবার জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের দেশে ফিরে যাওয়ার খবর শোনে প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপিয়ান প্রতিনিধি ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লাকে মেসেজ দেয়া হয়েছিলো- ‘শুনলাম আমিরে জামায়াত কাল চলে যাবেন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে জড়িত উপরোক্ত চার জনের সাথে একটু কথা বলে গেলে ভালো হতো না? যাদের এত ত্যাগ, তাদেরকে শুভেচ্ছা না জানিয়েই তিনি চলে যাবেন?’ আবু বকর মোল্লা রিপ্লাই দিয়েছেন, ‘He left already this morning’. যা ছিলো খুবই দু:খজনক ঘটনা।