রাজধানীর বনানী থানার মাদক মামলায় জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে দীর্ঘ প্রায় এক মাস পর বাসায় ফিরেছেন তিনি। তবে ফিরেই বাসা ছাড়ার নোটিশ দেখেছেন তিনি। বিষয়টি পরীমনি নিজেই জানিয়েছেন। কারাগার থেকে ঘরে ঢোকার পর ফ্ল্যাট ছাড়ার নোটিশ দেখতে পেয়ে তিনি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে পরীমনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন কি তাহলে আমার বসবাসের অধিকারটা পর্যন্ত কেড়ে নিচ্ছে ওরা? ওরা যা চেয়েছিল, তাই কি হচ্ছে? আমি তাহলে ঢাকা ছেড়ে চলে যাব, নাকি দেশ ছেড়ে চলে যাব? এখন এই মুহূর্তে আমাকে কে বাসা খুঁজে দেবে?’
এই নোটিশ আরো চারদিন আগে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। ওই ফ্ল্যাটে পরীমনির সঙ্গে তার বয়স্ক নানা থাকেন বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) জামিন পান পরীমনি। ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ রিপোর্ট দেওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়।
গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রিমান্ডের সময়সীমা বাদে কাশিমপুর কারাগারে ১৯ দিন ছিলেন আলোচিত এই নায়িকা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস পরীমনির জামিনের আদেশ দেন। গত ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর রোডে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। মাদকের মামলায় তাঁর ৫ আগস্ট চার দিনের, ১০ আগস্ট দুই দিনের ও ১৯ আগস্ট এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২২ আগস্ট পরীমনির পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।
তবে জামিন শুনানির জন্য ২১ দিন পর দিন ধার্য করায় ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পরীমনি। পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানি ২১ দিন পর ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট।