।। সুবোধ ।।
‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে’-গোলাম মোস্তফা। কবির এই কবিতার মতোই ১৫ বছর ঘুমিয়ে ছিলেন দেশের এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী ও সুশীলরা। ফ্যাসিস্ট হাসিনার স্বৈরশাসনের আতুড়ঘর ‘ধানমন্ডি-৩২’ বাড়ি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার গুঁড়িয়ে দেয়ায় তাদের ঘুম ভেঙেছে। তারা এখন বিবেকের তাড়নায় হাসিনা ও ভারতের গণমাধ্যমের কান্নাকাটির সাথে সুর মিলিয়ে মায়াকান্না করছেন। ‘বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস’ বইয়ে আহমদ ছফা লিখেছেন, ‘দেশের বুদ্ধিজীবীরা যা বলতেন, শুনলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। এখন যা বলছেন, শুনলে বাংলাদেশের সমাজ কাঠামোর আমূল পরিবর্তন হবে না।’ হঠাৎ করে বুদ্ধিজীবীদের ‘জেগে উঠা’ দেখে কবি গোলাম মোস্তফার কবিতা ও ৫০ বছর আগে রচিত আহমদ ছফার এই লেখার কথা মনে পড়ে গেল। আওয়ামী লীগের ‘তীর্থস্থান’-খ্যাত বাড়ি ‘ধানমন্ডির-৩২ নম্বর’ দ্রোহের আগুন পুড়ে ছারখার হয়ে যাওয়ায় বুদ্ধিজীবীদের যেন হুশ হয়েছে; জেগে উঠেছে সুশীল সমাজ। কিন্তু ওই আলোচিত বাড়িটি ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ক্ষমতা ধরে রাখার কেন্দ্রস্থল হিসেবে ব্যবহার করে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা, খুন-গুম-অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, হামলা-মামলা-নির্যাতন করার ভয়াবহ দৃশ্য তাদের ‘বিবেক’ নাড়া দেয়নি। বিক্ষুব্ধ জনতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ আওয়ামী লীগের লুটেরা, রাজনীতির নামে আওয়ামী অপরাধী চক্রের হোতাদের বাড়িঘরে হামলা করায় তারা ‘মব জাস্টিস’ অভিহিত করছেন; অথচ বিশ্বজিৎ দাস, আবরার ফাহাদকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা, ১৫ বছরে গুম-খুন-আয়নাঘরে রাখা, হাজার হাজার মানুষের জমি দখল, ব্যাংক দখল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল তাদের কাছে ‘মব জাস্টিস’ মনে হয়নি। এমনকি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় পুলিশ-র্যাব-বিজিবি আর আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের অস্ত্রধারী গু-াদের গুলিতে দুই হাজার ছাত্র-জনতার ‘শহীদ’ হওয়া, হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু হওয়া, এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন শত শত ছাত্র-জনতা, অমানবিক সে দৃশ্য তাদের মনে কষ্ট দেয়নি; অথচ ভারতের গণমাধ্যমের মিথ্যা প্রচারণা তিন হাজার পুলিশ নিহতের কল্পকাহিনী তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দিল্লি যা শিখিয়ে দেয়; সেটিই তাদের কাছে মহাভারত; আর ঢাকার স্বার্থ তাদের কাছে একেবারেই গৌণ! হাসিনার সুধাসদনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার আগুন ধরিয়ে দেয়ায় তারা কষ্ট পাচ্ছেন; অথচ বেগম খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া ‘আইনের শাসন’ হিসেবে দেখছেন।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ও সুধাসদনসহ সাবেক প্রেসিডেন্ট, সাবেক সেনাপ্রধান-মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপি-সংস্কৃতিকর্মীসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগ নামধারী লুটেরা নেতাদের বাসাবাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা কাম্য নয়। প্রধান উপদেষ্টা এ ধরনের জ্বালাও-পোড়ায়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছে। কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেইÑ এগুলো জনগণের ১৫ বছরের বহুমাত্রিক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। বিগত ১৫ বছরের জুলুম সহ্য করেছেন, নানাভাবে নিগৃহীত হয়েছেন, জমিজমা হারিয়েছেন, ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ হয়েছে যাদের কারণে; সুযোগ পেয়ে বিক্ষুব্ধ আমজনতা তাদের ওপর প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠছেন। সরকার এগুলো বন্ধের যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের অপপ্রচার, দিল্লিতে দাদাদের অনুকম্পায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার আস্ফালন, হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে পালানো পুলিশের সাবেক আইজি শাপলা চত্বরে হত্যাকা-ের ঘাতক বেনজীর আহমেদের ‘চাকরিরত পুলিশ আওয়ামী লীগের পক্ষে নামানোর বার্তা, গাজীপুরে সন্ত্রাসের গডফাদার জাহাঙ্গীর আলমের ‘ঢাকার মানুষকে রাতে ঘুমাতে দেবো না’ হুঙ্কার বুদ্ধিজীবী-সুশীলদের চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম যথার্থই ধরেছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ও পতিত স্বৈরাচার, চোরতন্ত্রের জননী, গুমের জননী; তারা চাইছেন বাংলাদেশের যে ন্যারেটিভ, সেটিকে চ্যালেঞ্জ করতে। ওদের বার্তাগুলো যেমন তিন হাজার পুলিশ মারা গেছে, ড. ইউনূস হচ্ছে জঙ্গি লিডার, ইউনূসকে ঘিরে আছে জঙ্গিরা; এটা খুবই ওয়েল অরকেস্ট্রেটেড ক্যাম্পেইন। ভারতীয় গণমাধ্যমও এর সঙ্গে জড়িত। এর পেছনে হাসিনার অলিগার্করা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।’ গত ৫ আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের যে ন্যারেটিভ, তা টিকিয়ে রাখা জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা (ভারত) একটি নতুন ন্যারেটিভ তৈরি করতে চাচ্ছে। বিশ্বকে বোঝাতে চাইছে, তোমরা যে এটিকে গণ-অভ্যুত্থান বলছ, সেটি আসলে তা নয়।’ শফিকুল আলমের এই বক্তব্য আমজনতার মধ্যে নতুন করে চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে। যারা এতদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিরোধিতা করেছেন তারা নতুন করে দলটিকে রাজনীতি করতে দেয়া উচিত কিনা ভাবতে শুরু করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান গত কয়েক মাস থেকেই স্পষ্ট করে বলছেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, ওটা সন্ত্রাসী সংগঠন। রাজনীতির নামে আওয়ামী লীগে অপরাধী চক্র সংগঠিত হয়েছে মাত্র।’
৫ আগস্টে গণহত্যা করে হাসিনা পালানোর পর থেকে ভারত আন্তর্জাতিক কূটনীতির সব নিয়ম-কানুন সিঁকেয় তুলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ‘ফেইক’ তথ্য অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারতের গণমাধ্যমগুলো। দুদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তির আলোকে সুপ্রতিবেশী হিসেবে গণহত্যাকারী হাসিনাকে ফেরত দেয়া দূরের কথা, হাসিনার বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য নিয়ে ভারতকে সতর্ক করা হলেও দিল্লি উল্টো দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে বলছে, ‘হাসিনার বক্তব্যের দায়িত্ব তার নিজের’। ভারতের এই বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার, হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে ভারতে পালানো শেখ হাসিনার একের পর এক ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তা, দেশবিরোধী প্রচারণা, সীমান্তে হত্যাকান্ড এসব নিয়ে এই তথাকথিত সুশীল-বুদ্ধিজীবীরা কথা বলেন না। কারণ কথা বললে সেটি দিল্লির স্বার্থের বিপক্ষে যায়। তারা যেন দিল্লির কেনা গোলাম হয়ে শিম্পাঞ্জির মতো ‘নড়াচড়া’ করতে অভ্যস্ত।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ফ্যাসিস্ট শাসনের ‘আতুড়ঘর’ হিসেবে ব্যবহার করেছে হাসিনা। সেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ, নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছেন দেশের বিশিষ্ট ২৬ নাগরিক। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্পূর্ণ জ্ঞাতসারে নির্মমতার সঙ্গে বাড়িটি ধ্বংস করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ঘটনা-পরবর্তী একটি বিবৃতি দিয়ে এ দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। এই ২৬ বুদ্ধিজীবীর কয়েকজন আবার দুদিকেই খেলতে অভ্যস্ত। বিবৃতিতে ঐতিহাসিক বাড়িটি ক্রেন, বুলডোজার দিয়ে নির্মমভাবে ধূলিসাৎ করা, ধ্বংস করা, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া, গভীরভাবে মর্মাহত, স্তম্ভিত ও লজ্জিত, ‘লজ্জাজনক’ ‘ধিক্কার’ নির্মম নির্দয় শাসকের বাসভবনও তাদের কীর্তি-অপকীর্তি সম্পর্কে বহু শত বছর পরও জানতে পারেন ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার করছেন। এমন ঘটনা ফ্যাসিবাদের কর্মী-সমর্থক এবং তাদের আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকদের নাশকতা সৃষ্টির প্রচেষ্টাকেই উৎসাহিত করবে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। মজার বিষয় হলো ফ্যাসিবাদ শব্দের ব্যবহার করলেও তারা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে হাসিনার নাম যুক্ত করেননি। আবার ‘আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকদের নাশকতা সৃষ্টির প্রচেষ্টাকেই উৎসাহিত করবে’ আশঙ্কা করছেন। হাসিনা পালানোর পর থেকে একমাত্র হিন্দুত্ববাদী ভারত নাশকতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা করছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে; অথচ ভাসুর ভারতের নাম ব্যবহার না করে ‘আন্তর্জাতিক’ শব্দের ব্যবহার করা হয়েছে। শেয়ালের মতো ধূর্ত এই বুদ্ধিজীবীরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে মায়াকান্নাকে ফ্যাশন মনে করেন। কিছুদিন আগে ‘প্রথম আলো’ আফিসের সামনে কিছু মানুষের বিক্ষোভ ও গরু জবাই করে খিচুড়ি বিতরণের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। অথচ ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে ইনকিলাব বন্ধ করা (এক মাস পর আদালতের আদেশে প্রকাশ শুরু হয়), আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামী টিভি, দিনকালসহ অনেকগুলো গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার পরও তারা নীরব ছিলেন। একটি পত্রিকার বয়সে প্রবীণ সম্পাদককে চ্যাংদোলা করে নিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ, পুলিশের সামনে রংপুর আদালতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ও কুষ্টিয়া আদালতে মাহমুদুর রহমানকে (এবার একুশে পদকপ্রাপ্ত) রক্তাক্ত করার ঘটনা তাদের বিবেকে নাড়া দেয়নি। ইসলামবিদ্বেষী লেখক বুদ্ধিজীবী প্রফেসর ড. হুমায়ূন আজাদের উপর হামলার ঘটনায় ‘দেশপ্রেমী প্রতিবাদী’ হয়ে উঠলেও বরেণ্য ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ড. আবতাব আহমদকে হত্যার ঘটনা তাদের বিবেকে নাড়া দেয়নি। পুলিশের সামনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আগুন দেয়া নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী; অথচ পুলিশের সামনে বিশ্বজিৎ হত্যাকা-, একজন সম্পাদককে চ্যাংদোলা করে অফিসে থেকে বের করা, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আগে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়ে শত শত মানুষের নিথর দেহ রাস্তায় পড়ে থাকা, যুবলীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হেমলেট বাহিনী পুলিশের সামনে গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যা, ঢাকার মোড়ে মোড়ে অস্ত্র হাতে পাহারা দেয়ার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা দেখেননি।
গতকাল দিনভর টক অব দ্য কান্ট্রি ছিল গাজীপুর। সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের গাজীপুরের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ জন নেতাকর্মীর সন্ত্রাসীদের হাতে আহত হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে গাজীপুর। এর আগে গাজীপুরের ত্রাস জাহাঙ্গীর আলম হুঙ্কার দেন, ‘ঢাকার মানুষকে রাতে ঘুমাতে দেবো না’। বাস্তবতা হলো হাসিনা পালানোর পর আওয়ামী লীগ গর্তে ঢুকে গেছে। পলাতক জাহাঙ্গীরের নিজস্ব কোনো আলো (ক্ষমতা) নেই। চাঁদ যেমন সূর্যের আলোয় আলোকিত, তেমনি জাহাঙ্গীরও এখন বিএনপির স্থানীয় নেতাদের আলোয় (ক্ষমতায়) ক্ষমতায়িত। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপির স্থানীয় নেতাদের কেউ কেউ সারা দেশের মতোই গাজীপুরেও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের টিকিয়ে রেখেছেন। মাঠ পর্যায়ে বিএনপির নেতাদের সমঝোতা করে আওয়ামী লীগ টিকিয়ে রাখার কৌশলে কয়েকটি জেলায় যুবদলের নেতারা প্রাণ হারিয়েছেন। কুমিল্লায় যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতা আবু হানিফ এবং খুলনায় যুবদল নেতা মানিক হাওলাদারসহ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। গতকালও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়া হবে না। ভারত শেখ হাসিনাকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ কথা বলার সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে।’ ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে সফল করতে বিএনপি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, খুলনার মতো বিভিন্ন জেলায় দলের কিছু নেতা চাঁদাবাজি, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে বিতর্কিত আওয়ামী লীগের নেতা ও ব্যবসায়ীদের ‘ভ্যানগার্ড’ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতারা সাহস দেখাচ্ছে। জাহাঙ্গীরের মতো সন্ত্রাসীরা হুঙ্কার দিচ্ছে এবং সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের গাজীপুরের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আক্রমণের সাহস দেখাচ্ছে। দিল্লির নাচের পুতুল তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা যতই জেগে উঠুক অন্তর্বর্তী সরকারকে সফল করতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য এখন সময়ের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলো একতাবদ্ধ থাকলে জনগণের ঐক্যের ¯্রােতে ভেসে যাবে দিল্লির তাঁবেদার সুশীলরা।