সিলেটে ওসমানী যাদুঘরের গৃহীত কর্মসূচীতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে বাধা প্রদান করায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন
মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, পূর্ব লন্ডন: গতকাল ১লা সেপ্টেম্বর বুধবার পূর্ব লণ্ডনের লণ্ডন এন্টার প্রাইজ একাডেমীতে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ১০৩ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাজ্যস্থ ওসমানী মেমোরিয়েল ফাউন্ডেশন এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আলহাজ্ব কবির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক খান জামাল নুরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মকসুদ ইবনে আজিজ লামা। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযাদ্ধা আবুল কাশেম খান, বীর মুক্তিযাদ্ধা আহবাব হোসেন চৌধুরী, বীর মুক্তিযাদ্ধা ও প্রবীন সাংবাদিক এম এ মান্নান, বীর মুক্তিযাদ্ধা সৈয়দ আব্দুল মাবুদ, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের চেয়ারপারসন ব্যারিষ্টার আতাউর রহমান, টাওয়ার হ্যামলেটসের ডেপুটি স্পীকার কাউন্সিলার জেনেথ রহমান, আলহাজ্ব এ এস মোহাম্মদ চৌধুরী সিংকাপনী, কাউন্সিলর মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান ও ব্যারিষ্টার ফারাহ খান। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কে এম আবু তাহের চৌধুরী।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ব্যারিষ্টার মাসুদ চৌধুরী, দর্পণ এর সম্পাদক সাংবাদিক রহমত আলী, ‘দ্যা গ্রেইট বেঙ্গল টু‘ডে’ পত্রিকার কমিউনিটি নিউজ এডিটর সাংবাদিক মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইছবাহ উদ্দিন, আমীর উদ্দিন আহমদ মাষ্টার, মিসেস ঝরনা চৌধুরী, মিসেস শোভা মতিন, সৈয়দ সুহেল আহমদ, হাজী ফারুক মিয়া, সুফি সুহেল আহমদ, সাংবাদিক আফসর উদ্দিন, মিসেস হেলেন ইসলাম, ময়নুল ইসলাম খান, খোন্দকার সাইদুজ্জামান, জামান সিদ্দিকী, কবি শেখ মো: শামসুল ইসলাম প্রমুখ। কবিতা আবৃত্তি করেন কবি শিহাবুজ্জামান কামাল। কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ ও দোয়া পরিচালনা করেন ব্রিকলেন মসজিদের ইমাম মাওলানা নজরুল ইসলাম।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন, ইতিহাসের পাতা থেকে ওসমানীকে সরানো যাবেনা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হয়ে বেঁচে থাকবেন। যারা শেষ করতে চাইবে তাঁরাই একদিন শেষ হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধে ওসমানীর নেতৃত্ব ছিলো বলে মুক্তিযুদ্ধ সফল হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা গেরিলা যুদ্ধ না করলে পাক বাহিনী দূর্বল হতোনা। সকল সেক্টর কমাণ্ডারদের পরিচালনা ও গোটা মুক্তিযুদ্ধ একমাত্র এম এ জি ওসমানীর সুদক্ষ নেতৃত্বে সফল হয়েছে। ওসমানীকে কমাণ্ডার ইন চীফ বা সর্বাধিনায়ক অস্বীকার করলে মুক্তিযুদ্ধের সরকারকে অস্বীকার করা হবে।
সভায় বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে সিলেট ওসমানী যাদুঘর কতৃক গৃহীত কর্মসূচী বন্ধ করায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়। সভায় পাঠ্য বইয়ে ওসমানীর জীবন ইতিহাস তুলে ধরতে এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালনের জন্য আহ্বান জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি