এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন তিনি
অনলাইন ডেস্ক: বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করা ডা. মো. মুরাদ হাসান কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১টার পরে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। ফ্লাইটটি দুবাই হয়ে কানাডার টরেন্টো যাবে।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে প্রবেশ করেন তিনি। সেখানে রজনীগন্ধা লাউঞ্জে অপেক্ষমান ছিলেন তিনি। রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে এমিরেটসের ফ্লাইটে যাওয়ার কথা থাকলেও ফ্লাইটটি ছেড়ে যায় রাত ১টার পর।
শাহজালাল বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “মুরাদ হাসান বিদেশে যাবেন কিনা সেটা তার সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের কিছু করার নাই।”
সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় মুরাদ হাসানের লাল পাসপোর্ট ছিল। মঙ্গলবার পদত্যাগের দিন সেটি তিনি ফেরত দিয়েছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করেন। একই সঙ্গে তিনি খালেদা জিয়ার নাতি জাইমা রহমানকে নিয়েও অত্যন্ত অশালীন বক্তব্য দেন। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢালিউড নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার একটি কথোপকথন ভাইরাল হয়। সেখানেও মাহিকে অশ্রাব্য গালিগালাজ এবং হুমকি দিতে শোনা যায় তাকে।
এর জেরে ৬ ডিসেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে পদত্যাগপত্র নিজের দপ্তরে পাঠান মুরাদ হাসান।
বুধবার তার নাম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নামফলক থেকেও মুছে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইট থেকেও তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও তার নাম নেই।
এর আগে ৮ ডিসেম্বর নিজের ফেসবুক পোস্টে ক্ষমা চান মুরাদ হাসান। বিকেল ৩টা ৫৮ মিনিটে দেওয়া ওই পোস্টটিতে তিনি লেখেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী মা,বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা, আমি যে ভুল করেছি তা আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে মাফ করে দিবেন।আপনি যে সিদ্ধান্ত দিবেন তা আমি সবসময়ই মাথা পেতে নিবো আমার বাবার মতো।”