কলকাতা: তাজপুরে সমুদ্র বন্দরের কাজ করবে রাজ্য সরকারই। বন্দরে আর কারা যুক্ত হবেন, পরে ঠিক হবে। বুধবার নবান্ন থেকে এ কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এছাড়াও দিঘায় মুকেশ আম্বানীর জিও একটি কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি করার বরাত পেয়েছে। ফলে রাজ্যের ডেটা ট্রান্সমিশনের ভোল বদল হবে। এমনটাই দাবি করছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তাছাড়া ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২০ কেও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
কেন্দ্র সরকারের সাহায্য না নিয়েই তাজপুরে সমুদ্র বন্দর গড়তে চলেছে রাজ্য সরকার। দিঘা সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্য সরকার তাজপুরে বন্দর গড়বে। রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে সায় দিয়ে ৫ বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার তাজপুর বন্দর গড়ে তোলার জন্য ৭৪ শতাংশ অর্থ লগ্নির কথা বলেছিল।
কিন্তু ৫ বছর পরেও তা না হওয়ায় বুধবার নবান্ন সভাঘরে সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করলেন তাজপুর বন্দর রাজ্য সরকার একাই তৈরি করবে। বন্দরে আর কারা যুক্ত হবেন, পরে ঠিক হবে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বন্দর হল কলকাতা বন্দর (হলদিয়া বন্দর সহ)। কিন্তু হুগলি নদীর নাবত্য কমে যাওয়ার জন্য সমুদ্রগামী বড় জাহাজ কলকাতা বন্দর ও হলদিয়া বন্দরে নোঙর করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এই কারণে রাজ্যের শিল্পে গতি কমছে। কলকাতা ও আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পা অঞ্চলের পণ্য-দ্রব্য আমদানি ও রপ্তানি পারাদ্বীপ বন্দর এর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যা রাজ্যের বন্দর শিল্পে ও হলদিয়া শিল্পা অঞ্চলের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। এই কারণে রাজ্য সরকার তাজপুর বন্দর প্রকল্প গ্রহণ করে।
রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে ২০০৬ সালে হলদিয়া বন্দরের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘার কাছে একটি সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। প্রথমে কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের পেটুয়াঘাট এলাকায় এ জন্য সমীক্ষা করা হয়েছিল। ২০১০ সালের শেষের দিকে পেটুয়ার বদলে রামনগর-১ ব্লকের তাজপুরকে বন্দর তৈরির জন্য চিহ্নিত করা এবং সমীক্ষা করা হয়। তাতে সবুজ সঙ্কেতও মিলেছিল।
রাজ্যে পালাবদলের পরে তৃণমূল সরকার বন্দর গড়তে উদ্যোগী হয়। কেন্দ্রে এবং রাজ্য সরকার যৌথভাবে ওই কাজ করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রের সাড়া না মেলায় এবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, রাজ্য সরকারই প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দর গড়বে।