আগরতলা: কুমার শচীন দেববর্মণ ভারতীয় সঙ্গীত জগতের এক উজ্জ্বল নাম। তাঁর সঙ্গীত প্রতিভা অতুলনীয়। এ রকম একজন কিংবদন্তি সাংসৃকতিক ব্যক্তিত্বের আদর্শ ও কর্মধারাকে পাথেয় করেই রাজ্যের সাংসৃকতিক জগতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আজ তথ্য ও সংসৃকতি দফতরের উদ্যোগে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত সুরসম্রাট কুমার শচীন দেববর্মণের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে তাঁকে স্মরণ করে এ-কথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শচীন দেববর্মণ বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে অসংখ্য ছায়াছবিতে সঙ্গীতের সুর দিয়েছেন। তিনি শুধু সুরকারই ছিলেন না, প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীও ছিলেন। তাঁর গানে আজও নতুন প্রজন্ম আকৃষ্ট হয়। তিনি পদ্মশ্রী, ফিল্মফেয়ার সহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সাথে মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেন, ত্রিপুরার রাজপরিবারের কৃতী সন্তান শচীন দেববর্মণ এবং তাঁর পুত্র রাহুল দেববর্মণ ত্রিপুরাবাসীর কাছে চিরকালের এক গর্বের নাম।
তিনি দাবি করেন, নতুন সরকার ত্রিপুরার সাংসৃকতিক পরিমণ্ডল বিকাশে বিবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কালচারাল হাব তৈরির উদ্যোগ অন্যতম। সেখানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মহান সাংসৃকতিক ব্যক্তিত্বের জীবনদর্শন ও সাংসৃকতিক কর্মগুলি প্রদর্শিত হবে। তাতে বিকশিত হবে এই অঞ্চলের সাংসৃকতি পরিবেশ। উজ্জীবিত হবে নতুন প্রজন্ম। তাছাড়া সরকার যাত্রা-শিল্পেরও পুনরুজ্জীবনে পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি বলেন, সাংসৃকতিক কর্মকাণ্ড আমাদের মানসিক ও ব্যক্তিত্বের বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করে। মনের রসদ জোগায়।
তাঁর কথায়, ত্রিপুরার জাতি ও জনজাতি সম্প্রদায়ের সংসৃকতির বিকাশ ঘটাতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। এই কাজে তথ্য ও সংসৃকতি দফতরের পাশাপাশি ত্রিপুরার শিল্পী সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনেছেন। ভারতীয় সভ্যতা, সংসৃকতিকে কীভাবে সমগ্র বিশ্বের সম্মুখে তুলে ধরা যায় এর জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে চলছেন। প্রধানমন্ত্রী যে দিশাতে কাজ করে চলছেন সবাই মিলে একই দিশাতে কাজ করলে দেশ ও রাজ্য অচিরেই শক্তিশালী হয়ে উঠবে, দৃঢ়তার সাথে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।