শিক্ষা নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। তাতে, মাধ্যমিকে ৩৮১২৯ জন এবং উচ্চমাধ্যমিকে ৩৩৪৫৩ জন ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছেন। শতাংশের হারে মাধ্যমিকে ৮৬.০২ শতাংশ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৮৩.২৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর উচ্চমাধ্যমিকের পাশের হার অনেকটাই কম। গত বছরের তুলনায় এবছর মাধ্যমিকে পাশের হার প্রায় একই রয়েছে।
আজ সাংবাদিক সম্মেলনে পর্ষদ সভাপতি ড. ভবতোষ সাহা বলেন, এবছর মাধ্যমিকে ৩৮,১২৯ জন পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭৯৩৯ জন ছাত্র, ২০১৮৯ জন ছাত্রী এবং তৃতীয় লিঙ্গের একজন রয়েছে। সারা ত্রিপুরায় ১০৮৩টি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে।
তিনি জানান, আটটি জেলায় পাশের হারে মাধ্যমিকে গোমতী জেলা শীর্ষে রয়েছে। ৯২.৩০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ওই জেলায় মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় সবচেয়ে কম ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। ওই জেলায় ৭৭.৮০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। সাথে তিনি যোগ করেন, মাধ্যমিকে ১০৮৩ বিদ্যালয়ের মধ্যে ২১৪টি বিদ্যালয়ে ১০০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। মাধ্যমিকে দুটি বিদ্যালয়ে কোনো পরীক্ষার্থী পাশ করেনি। বিগত বছর উচ্চমাধ্যমিকের পাশের হারের তুলনায় এবছর অনেকটাই কম বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, উচ্চ মাধ্যমিকে ৩৩৪৫২ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫,৫৯২ জন ছাত্র এবং ১৭৪৬০ জন ছাত্রী রয়েছে। সারা ত্রিপুরায় ৪০৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টি বিদ্যালয়ে ১০০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীরা উত্তীর্ণ হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে একটি বিদ্যালয়ে কোনো পরীক্ষার্থী পাশ করেনি।
তিনি বলেন, জেলাস্তরে ফলাফলে সিপাহীজলা জেলা উচ্চমাধ্যমিকে শীর্ষে রয়েছে। ৮৮.৬০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ওই জেলায় উত্তীর্ণ হয়েছে। অন্যদিকে, ধলাই জেলায় সবচেয়ে কম ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। ওই জেলায় ৬৯.৯৬ শতাংশ ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। সাথে তিনি যোগ করেন, উচ্চ মাধ্যমিকে ১৯টি বিদ্যালয়ে ১০০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। এদিকে, এবছর মাধ্যমিকে ৫০ জন দিব্যাঙ্গন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন ছাত্রী ও ২৭ জন ছাত্র রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে ২০ দিব্যাঙ্গন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জন ছাত্রী ও ১০ জন ছাত্র দিয়েছে।
তিনি আরও যোগ করেন, ত্রিপুরা জনজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকায় বিদ্যালয়গুলিতে ১১,২৩৮ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় নাম নথিভুক্ত করেছিল। তাদের মধ্যে ১১৩ জন পরীক্ষা দেয়নি, ১,৫৮৩জন ফেল করেছে এবং ৯,৫৮২ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। শতাংশের হারে মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৪.৯ শতাংশ। এই বছর উচ্চমাধ্যমিকে ৭৮৭২ জন ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষায় নাম নথিভুক্ত করেছিল। তাদের মধ্যে ৮৯ জন পরীক্ষা দেয়নি, ১৭০০ জন ফেল করেছে এবং ৬০৮৩ জন ছাত্র ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। শতাংশের হারে উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার ৭৭.২৭ শতাংশ।