বাংলাদেশে দুর্গোত্সবের মধ্যে যেভাবে হিংসার ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তাতে রীতিমতো উদ্বেগে সেদেশের সুধী সমাজ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশের প্রবাসী মানুষ থেকে সেদেশের শুভানুধ্যায়ীরা সকলেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করে দিয়েছেন। পরিচালত সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী মিথিলা বাংলাদেশের অন্যতম নামী শিল্পী। অন্যদিকে, স্বনাম ধন্যা অভিনেত্রী জয়া আহসান থেকে সুবর্ণা মুস্তাফার মতো শিল্পীরাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে তাঁরা কী বলেছেন দেখা যাক।
সুবর্ণা মুস্তাফা
বাংলাদেশের নামী অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন পুরোটাই ডিজিটাল। তোমরা সবাই চিহ্নিত, তোমাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে, আইনের শাসন দিয়েই তোমরা শাস্তি পাবে। সহনশীল হওয়ার দিন শেষ। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ধর্ম যার যার, উত্সব সবার। সকল ধর্মের প্রতি সমান সম্মান।’ কার্যত নিজের বক্তব্যেই তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, পুরনো বাংলাদেশকে ফিরে পেতে কতটা মরিয়া সেদেশের শান্তি প্রিয় মানুষ ও বুদ্ধিজীবীরা।
গর্জে উঠলেন মিথিলা
‘ধর্মের নামে রাহাজানি বন্ধ হোক।’ ঠিক এই ভাষাকে অস্ত্র করেই তাঁর নিজের মাতৃভূমি বাংলাদেশ সম্পর্কে গর্জে উঠেছেন সৃজিত ঘরনী তথা বিশিষ্ট বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবী মিথিলা। তিনি লেখেনন, ‘ঘৃণার ব্যবসা বন্ধ হোক। সবার উপরে মানুষ, মানবতা সত্য হোক। ভবিষ্য়ত্ প্রজন্মের সুন্দর জীবনের জন্য একটা শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়া আমাদের দায়িত্ব । ‘
‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’
‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না, এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ আমার দেশ না, এই বিস্তীর্ণ শ্মশান আমার দেশ না, এই রক্তস্নাত কসাইখানা আমার দেশ না।’ ঠিক এই ভাষাতেই জয়া আহসান কার্যত তোপ দেগেছেন হিংসায় মত্ত মানুষের বিরুদ্ধে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে তিনি হাড়হিম করা এক করুণ ছবি পোস্ট করে একথা লিখেছেন।
কী ঘটেছে বাংলাদেশে?
উল্লেখ্য, এএনআই সূত্রের খবর, বাংলাদেশের পীরগঞ্জে সাম্প্রদায়িক আগুন জ্বলে ওঠে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে। বিভিন্ন সময়ে পরিস্থিতি উস্কানিমূলক হয়ে ওঠে ওই পোস্ট ঘিরে। তারপর হিংসার আগুন থামাতে বেগ পেতে হয় প্রশাসনকে। বাংলাদেশের রামনথপুর মাঝিপাড়াক জেলে পল্লিতে পর পর ২০ টি বাড়ি রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়। ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে ধিক্কার ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আর সেই সমালোচনায় সামিল হয়েছেন বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা। সামিল হয়েছেন তসলিমা নাসরিনও।