শিরোনাম
শুক্র. ডিসে ৫, ২০২৫

দুর্ঘটনার ৭ ঘণ্টা পর ভৈরবে ট্রেন চলাচল শুরু

  • নিহতদের পরিবার পাচ্ছে ২৫ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের ভৈরববাজার রেলস্টেশনের পাশে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সাত ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের ট্রেন যোগাযোগ শুরু হয়েছে। রাত পৌনে ১১টায় ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “রাত পৌনে ১১টায় কালনী এক্সপ্রেস ভৈরব স্টেশন ছেড়ে সিলেটের পথে রওনা হয়েছে। অন্যান্য ট্রেনও এখন চলাচল করবে।”

সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব রেল স্টেশনের আওটার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ২০ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলিম হোসেন শিকদার।

ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের ফাইটার মোশাররফ জানান, দুর্ঘটনাকবলিত এগারোসিন্ধুর গোধুলীর তিনটি বগি থেকে একে একে মরদেহ বের করা হচ্ছে। বগির নিচে অনেকে চাপা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারকাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

হতাহতের সংখ্যা শতাধিক হতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এক খুদে বার্তায় এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রেলওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি।

নিহতদের পরিবার পাচ্ছে ২৫ হাজার টাকা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার প্রতি ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি এ কথা জানান।

জেলা প্রশাসক বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের এখানে পর্যাপ্ত ডাক্তার আছেন। যাদের উন্নত চিকিৎসা দরকার তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে মালবাহী ট্রেনটি স্টেশন ত্যাগ করেছে। উদ্ধারকারী ট্রেন এসেছে। যাত্রীবাহী ট্রেনটি উদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *