নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রেখে হাইকোর্ট বলেছেন, পরিবেশ অধিদপ্তর দূষণ রোধে ভূমিকা রাখতে পারছে না—তাদের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না? দেশের নদীগুলো দূষিত, বাতাস দূষিত এবং ঢাকার অবস্থা তো আরও খারাপ। আমরা শঙ্কিত।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক সম্পূরক আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেন। এই তথ্য জানিয়েছেন এইচআরপিবির প্রেসিডেন্ট জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
ঢাকা শহর ও আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ রোধে এইচআরপিবির করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর হাইকোর্ট কয়েক দফা নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত ২৭ নভেম্বর সম্পূরক ওই আবেদন করে এইচআরপিবি। এতে ‘বিক্রি হচ্ছে ইটভাটার ছাড়পত্র’, এমন শিরোনামে একটি দৈনিকে গত ২৫ নভেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়। প্রতিবেদনের ভাষ্য, ঢাকার ধামরাইয়ে ইটভাটা তৈরিতে ঘুষ দিয়ে মিলছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এভাবে গত ৮ মাসে ধামরাইয়ে ‘বৈধ’ ইটভাটার সংখ্যা বেড়েছে ৩২।
শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গণমাধ্যমে আসা ওই অভিযোগ তদন্ত করে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।