লন্ডন, ১৮ মার্চ: বাংলাদেশের জার্সিতে ইন্ডিয়ার বিপক্ষে ২৫ মার্চ অভিষেক হতে যাচ্ছে এ মুহুর্তে এশিয়ার সেরা তারকা ফুটবলার হামজা চৌধুরীর। চাইলে সরাসরি শিলংয়ে দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু আগে ঘরে ফিরেছেন তিনি। দেশে ফিরে ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার ডিভিশনের এই ফুটবলার।
গত সোমবার সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সঙ্গে ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। এর আগে রোববার দিবাগত রাত বাংলাদেশ সময় ২টায় যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে বিমান ধরেন হামজা। তার বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে। সেখানে তার জন্য দিনভর অপেক্ষা করেছেন হাজারো ভক্ত। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার জন্য প্রথমবারের মতো দেশে ফিরে ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। তার আগমন সিলেট বিমানবন্দরে ভিড় জমান হাজার হাজার ভক্ত-সমর্থক। তাদের অনেকের হাতে ছিল ব্যানার।
হামজা ও তার পরিবারকে বরণ করে নিতে সিলেটে যান বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। বাফুফে কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর উৎসুকদের ফাঁক গলে সিলেট বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে যখন বেরিয়ে আসেন হামজা চৌধুরী, তখন তার দিকে তাক করা শত শত ক্যামেরা, মোবাইল ফোন আর মানুষের চোখ। ‘হামজা, হামজা’ স্লোগান এবং ভিড়ের সামনে তাকে বেশ হাসিখুশিই দেখা গেছে। তবে কোলাহলের কারণে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করতে সময় লেগেছে সাংবাদিকদের।
হামজার আগমনে সংবাদ মাধ্যমকর্মীদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বের হয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন এই ইংল্যান্ডের লিগে খেলা এই ফুটবলার। আগামী মঙ্গলবার এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ইন্ডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ সম্পর্কে হামজা বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ আমরা উইন খরমু। আমার বড় স্বপ্ন আছে। কোচ হাভিয়েরের সঙ্গে কাজ করব। ইনশা আল্লাহ আমরা উইন করিয়া প্রোগ্রেস করতে পারমু।’
হামজা আগেও বাংলাদেশে গিয়েছেন। তবে এবারের যাওয়াটা বিশেষ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল দলের খেলোয়াড় হয়ে দেশে ফিরেছেন তিনি। স্মরণীয় এ সফরে তার সঙ্গী মা, স্ত্রী ও সন্তানেরা। হামজা চৌধুরীর বাবা দেওয়ান মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘মাতৃভূমির প্রতি অসামান্য টানের কারণে সে দেশে আসছে।’ দেশবাসী যে প্রত্যাশা করছে হামজাকে নিয়ে হামজা তা পূরণ করতে পারবেন এমন আশা ব্যক্ত করেন তিনি।