মনজুরুল ইসলাম: চট্টগ্রামের জয়নাল আবেদিন সম্পদশালী হয়েছেন জাহাজ ভাঙার ব্যবসায়। বছর দশেক আগে ব্যবসা গুটিয়ে কানাডা চলে যান তিনি। সে সময় থেকেই তিনি সপরিবারে দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। দেশটির নাগরিকত্ব নিয়েছেন বিনিয়োগ কোটায়। গত দুই দশকে তার মতো আরো অনেক সম্পদশালী ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ কোটায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। দেশের ব্যবসা গুটিয়ে অর্থের বিনিময়ে নিয়েছেন দ্বৈত নাগরিকত্ব।
নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করলেই বিদেশীদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দিয়ে আসছে বেশ কয়েকটি দেশ। কভিডকালে বাংলাদেশীদের মধ্যে এ প্রবণতা কিছুটা কম দেখা গেলেও বৈশ্বিক পর্যায়ে তা বেড়েছে। গত বছর বিশ্বব্যাপী অন্য দেশে ‘বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব’ গ্রহণে আগ্রহীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। ব্রিটিশ অভিবাসন প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনারস বলছে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকেন্দ্রিক দ্বৈত নাগরিকত্বের ব্যবসার আকার দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৬০০ কোটি) ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, এটি আরো বেশি হতে পারে। অন্যদিকে ব্রিটিশ সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান নাইট ফ্রাংকের চলতি বছরের ওয়েলথ রিপোর্টের তথ্য বলছে, ৩ কোটি ডলারের বেশি পরিমাণ সম্পদশালীদের অন্তত ২৪ শতাংশই দ্বিতীয় একটি দেশের পাসপোর্ট গ্রহণে আগ্রহী।
আগে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় এ নিয়ে বেশি আগ্রহ দেখা গেলেও এখন উন্নত দেশগুলোর বাসিন্দারাও নতুন দেশে অভিবাসনের দিকে ঝুঁকছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের সম্পদশালীদের মধ্যে এ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মূলত ব্যবসায়ীরাই বিনিয়োগ কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন দেশে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ নেন। এর বাইরেও অনেকে আছেন, যারা অবৈধ উপায়ে অপ্রদর্শিত সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তারাও বিনিয়োগ কর্মসূচির আওতায় দ্বিতীয় কোনো দেশে আবাস গড়ছেন। বাংলাদেশ থেকে প্রধানত কানাডা, যুক্তরাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। এছাড়া সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া বা অস্ট্রেলিয়া নিয়েও অনেকের আগ্রহ রয়েছে। তবে গত কয়েক বছরে মাল্টা, সাইপ্রাসসহ ইউরোপের যেসব দেশে ভিসা পাওয়া সহজ, বাংলাদেশীরা সেসব দেশেরও নাগরিকত্ব নিয়েছেন।
বাংলাদেশী বিত্তশালীদের মধ্যে বিনিয়োগ কোটায় দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের প্রবণতা কয়েক বছর ধরেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। করোনা মহামারী শুরুর আগে থেকেই বিনিয়োগকারী হিসেবে স্থায়ীভাবে বসবাসের লক্ষ্যে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, থাইল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে ঠিকানা গড়েছেন বাংলাদেশীরা। বাংলাদেশ থেকে অভিবাসন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, প্রতি বছরই এ সংখ্যা ক্রমেই বাড়লেও বর্তমানে কভিডের কারণে এতে কিছুটা ভাটা পড়েছে। গত বছরের বেশির ভাগ সময়েই অভিবাসনের আবেদন জমা পড়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় কম। তবে বছরের শেষ দিকে মহামারী পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে অনেকেই আবার অভিবাসনের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন।
এ বক্তব্যের যথার্থতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে হেনলির তথ্যেও। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০১৯ সালে অভিবাসন নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী দেশের তালিকায় ছিল ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়া। তবে গত বছর এ তালিকার শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রও। এদিক থেকে গত বছর শীর্ষে থাকা পাঁচটি দেশ হলো ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে বলেই তারা দ্বৈত নাগরিকত্ব নিচ্ছে। যারা শাসক দলের লোক, তারা মনে করে কোনো কারণে যদি ক্ষমতা চলে যায়, তাহলে তাকে দেশের বাইরে চলে যেতে হতে পারে। আবার যারা বিরোধী দলে আছে; তারাও অনিরাপত্তায় ভোগে। যেকোনো সময় জেলে যেতে হতে পারে। তাই তারা নিরাপদ জায়গায় যেতে চায়। ব্যবসায়ীরা মনে করেন তাদের অনেক টাকা রয়েছে, যেকোনো সময় তাদের ওপর চাপ আসতে পারে। তাই তারাও নিরাপদ জায়গায় অর্থ রাখতে চান। আর সাধারণ মানুষের ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়ালেখা করলে নিরাপত্তাহীনতার কারণে অভিভাবকরা তাদের আর দেশে আসতে বলেন না। তারাও বিদেশে বসবাস শুরু করেন। উন্নত দেশগুলোয় অভিবাসনটি স্থায়ীভাবে হয়ে থাকে। এতে দেশের ওপর, সুশাসনের ওপর, ব্যবস্থাপনার ওপর আস্থাহীনতাই প্রকাশ পায়। এটি আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।
বিনিয়োগের মাধ্যমে উন্নত দেশে দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিদেশে টাকা পাঠানো কোনো সমস্যা নয়। দুই টাকা বেশি দিলে যে কেউ টাকা পাঠাতে পারে। যেসব দেশে টাকা পাঠানো হয়, তারাও তেমন কোনো প্রশ্ন তোলে না। তবে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অর্থায়ন হলে বা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত কাউকে পাঠালেই শুধু টাকা প্রবেশে বাধা দেয়া হয়।
বিনিয়োগের মাধ্যমে দ্বৈত নাগরিকত্বের সঙ্গে অর্থ পাচারের বিষয়টিরও সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও অর্থায়ন বিশেষজ্ঞদের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই)। গত বছর মার্চে জিএফআইয়ের করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে শুধু পণ্য আমদানি ও রফতানির মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমেই বছরে অর্থ পাচার হচ্ছে ৬৪ হাজার কোটি টাকা।
বিভিন্ন দেশে পাচারকৃত অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশীদের নাগরিকত্ব গ্রহণ নিয়ে সরকারি বিভিন্ন সংস্থাও এখন উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে এ নিয়ে একটি তালিকা করারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের কাছে এ বিষয়ে গত বছর চিঠি পাঠিয়েছিলেন দুদকের মানি লন্ডারিং বিভাগের মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ। ‘বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব থাকা বাংলাদেশীদের তালিকা প্রসঙ্গে’ শীর্ষক ওই চিঠিতে বিনিয়োগ কোটায় যেসব বাংলাদেশী নাগরিক পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের সম্পর্কে তথ্য বা তালিকা দূতাবাসের মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো উপায়ে পাওয়া যাবে কিনা তা জানাতে অনুরোধ করা হয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে মিস ইনভয়েসিং, হুন্ডি, বাল্ক ক্যাশ ট্রান্সফার ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ বিভিন্ন দেশে পাচার হয়। এতে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার জন্য যে পরিমাণ দেশীয় বিনিয়োগ করা প্রয়োজন, তা নিশ্চিত করতে হলে অর্থ পাচার রোধ করা একান্ত প্রয়োজন।
এছাড়া হাইকোর্টও গত বছর বিভিন্ন সময় বিদেশে অবস্থানকারীদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে তথ্য চেয়েছিলেন। গত ২১ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত দ্বৈত নাগরিক ও দ্বৈত পাসপোর্টধারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেন। পরবর্তী সময়ে পুলিশের বিশেষ শাখার (ইমিগ্রেশন) পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দাখিল করা হয় হাইকোর্টে। ওই প্রতিবেদনে থাকা তালিকায় ১৩ হাজার ৯৩১ জন দ্বৈত নাগরিকের তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বৈত পাসপোর্টধারী এবং নাগরিকদের মধ্যে যারা বিদেশে যাওয়া-আসা করেন, ইমিগ্রেশন ডাটাবেজ অনুসারে তাদের সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৩১। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকা ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে ১০ হাজার ৭৭৪ জনের। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ১৭৮ জন, ইংল্যান্ডের ৫৬৮, কানাডার ৩৮৯, জার্মানির ২৩৮, মালয়েশিয়ার ৭৬ জন ব্যক্তি দ্বৈত নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে বাস করছেন।
নাগরিকত্ব নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের আগ্রহের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কানাডা। দেশটিতে নাগরিকত্ব পেতে কেবল বিনিয়োগ করলেই চলে না, আরো কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। নির্দিষ্ট কিছু খাতে বিনিয়োগের মেয়াদ হতে হয় কমপক্ষে পাঁচ বছর। বিনিয়োগের আগে ওই ব্যক্তি আদৌ বিনিয়োগের ব্যাপারে যোগ্য কিনা, সেটা যাচাইয়ের জন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা দেখাতে হয়। মনোনীত কানাডিয়ান ভেঞ্চার ক্যাপিটাল থেকে বিনিয়োগ হলে সেটার ন্যূনতম পরিমাণ ২ লাখ ডলার। কানাডার মনোনীত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিনিয়োগ এলে সেটার ন্যূনতম পরিমাণ ৭৫ হাজার ডলার।
কানাডার মতো যুক্তরাজ্যেও দ্বিতীয় ঠিকানা খুঁজে নিচ্ছেন অনেক বাংলাদেশী। বিনিয়াগকারী ভিসায় নাগরিকত্ব পেতে যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগ প্রয়োজন ন্যূনতম দুই লাখ পাউন্ড। ‘টায়ার-ওয়ান ইনভেস্টর’ শ্রেণীর এ ভিসার জন্য যুক্তরাজ্যে ২০ লাখ পাউন্ড (প্রায় ২২ কোটি টাকা) বিনিয়োগের শর্ত পূরণ করতে হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বহির্ভূত দেশ থেকে মোটা অংকের বিনিয়োগ আকর্ষণে স্থায়ী বসবাসের সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০৮ সালে এ বিনিয়োগ ভিসা চালু করে যুক্তরাজ্য। নিয়ম অনুযায়ী ২০ লাখ পাউন্ড বিনিয়োগের জন্য ২০ লাখ পাউন্ড প্রস্তুত দেখাতে পারলে প্রাথমিক অবস্থায় পাঁচ বছরের ভিসা দেয়া হয়। পাঁচ বছর পর ওই সব বিদেশী স্থায়ী বসবাসের আবেদন করতে পারেন। অন্যদিকে দুই বছরের মধ্যে স্থায়ী ভিসার আবেদন করতে হলে বিনিয়োগ করতে হবে ১ কোটি পাউন্ড। আর তিন বছরের মধ্যে স্থায়ী ভিসার আবেদন করতে হলে বিনিয়োগ করতে হবে ৫০ লাখ পাউন্ড।
মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় নিবাস গড়ার কর্মসূচি ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ)’ প্রকল্পে আগ্রহীদের উৎস দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। দেশটিতে বাড়ি ক্রয়ে আগ্রহী বিদেশীদের মধ্যে চীন ও যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের পরই বাংলাদেশীদের অবস্থান। এমএম২এইচ প্রোগ্রামে ১০ বছরের নন-মালয়েশিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করতে ৫০ বছরের কম বয়সী বাংলাদেশীদের অ্যাকাউন্টে জমা থাকতে হয় ৫ লাখ রিঙ্গিত বা ১ কোটি ৬ লাখ টাকা। মালয়েশিয়ার ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করতে হয় ৬৫ লাখ টাকা। অন্যদিকে পঞ্চাশোর্ধ্বদের জন্য অ্যাকাউন্টে থাকতে হবে সাড়ে ৩ লাখ রিঙ্গিত বা ৭৫ লাখ টাকা। মালয়েশিয়ায় ফিক্সড ডিপোজিট করতে হবে কমপক্ষে ৩২ লাখ টাকার। তবে উভয় ক্ষেত্রে মাসিক আয় হতে হবে কমপক্ষে ২ লাখ ১২ হাজার টাকা।
হেনলি আন্ড পার্টনারসের তথ্য বলছে, করোনাকালীন বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্বের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা। যদিও এর কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে হেনলি অ্যান্ড পার্টনারসের বক্তব্য হলো এসব আগ্রহীর অনেকেই এমন দেশ খুঁজছেন, যেখানে তারা পরিবার নিয়ে নিরাপদে থাকতে পারবেন। আবার অনেকেই শুধু ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য থেকেই অভিবাসনের আদর্শ গন্তব্য খুঁজছেন।
বিষয়টিকে সামনে রেখে এখন মার্কিন ট্রাভেল এজেন্সিগুলোও তাদের ব্যবসার ধরন বদলাতে শুরু করেছে। এমনই এক প্রতিষ্ঠান এমবার্ক বেয়ন্ড। করোনা মহামারী শুরু হওয়ার আগেও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক ট্রাভেল এজেন্সি প্রতিষ্ঠানটি মূলত বিত্তবান মার্কিন নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন অবকাশ যাপনের ট্যুর প্যাকেজ, চার্টার জেট ভাড়া করার কাজগুলো করত। কিন্তু মহামারীর কারণে গত বছর সে ব্যবসায়ে মারাত্মক পতন হয়। এর ফলে ‘দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রোগ্রাম’ নামে নতুন ব্যবসা শুরু করে এমবার্ক বেয়ন্ড। দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন প্রক্রিয়া করতে বিভিন্ন দেশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ফি নেয় এমবার্ক। বণিক বার্তা





