শিরোনাম
শুক্র. ডিসে ৫, ২০২৫

নতুন আদেশে প্রবাসীদের সহায় সম্পদ রক্ষায় জটিলতা আরও বাড়বে

পৃথিবীর ১৬৮ দেশে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করেন। তারা প্রতিবছর রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। গত বছর প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন রেকর্ড সৃষ্টিকারী ২২ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসীদের প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে পারিবারিক ও আত্মীয়তার বন্ধনে। এই প্রবাসীরা নানা জটিলতার শিকার হন স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারা, আবার কখনো প্রতারিত হন নিজের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে।

শেষ ভরসা হিসেবে প্রবাসীরা কখনো কখনো আদালতের দ্বারস্থ হন। এই শেষ ভরসাস্থলে তৈরি হয়েছে নতুন জটিলতা। গতকাল মহামান্য হাইকোর্ট এক আদেশে বলেছেন, এখন থেকে মামলা করতে বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে (পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী)।

দেশে বসবাসকারী নাগরিকদের জন্য এটি কষ্টসাধ্য নয় এবং অনেক ক্ষেত্রে এর প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। কিন্তু প্রবাসীদের জন্য এই আদেশ সৃষ্টি করবে বিরাট জটিলতা। কারণ ১,৬০,০০,০০০ প্রবাসীর বেশির ভাগের কাছে নেই এনআইডি। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা প্রবাসীদের জন্য এনআইডি প্রদানের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে- তবে কাজটি অনেক কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। সুতরাং প্রবাসীরা যদি এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া আদালতের দ্বারস্থ হতে না পারে তাহলে তাদের সহায় সম্পত্তি রক্ষার শেষ আশ্রয়স্থলটিতে পৌঁছাতে সৃষ্টি হবে জটিলতা। এই সুযোগে প্রভাবশালীরা প্রবাসীদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টায় আরও বেশি সফল হবে।

সামগ্রিক বিবেচনায় প্রবাসীদের আপাতত এই আদেশটি থেকে বাইরে রাখা যায় কিনা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দরকার।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *