করিমগঞ্জ (অসম) : নয় দিনের লকডাউনের পর শেষপর্যন্ত ছন্দে ফিরেছে গ্রাম করিমগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চল। একই সাথে সমগ্র রাজ্যে আনলক-৪ বলবত্ হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই জেলা সদর সহ করিমগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলের দোকানপাট, বাজারহাট স্বাভাবিক হয়েছে। সকাল থেকেই বাজারে ছুটছেন ক্রেতারা। যদিও বিগত কিছুদিন থেকে করোনার থাবা বরাক উপত্যকায় বিশেষভাবেই পড়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে মৃতের সংখ্যাও। ফলে দেশে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় বরাক উপত্যকায় অতিরিক্ত নয় দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিল তিন জেলা প্রশাসন।
২৭ আগস্ট সকাল থেকে ৪ সেপ্টেম্বর রাত বারোটা পর্যন্ত বলবত্ ছিল এই লকডাউন। এরই মধ্যে শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ আনলক ৪ ঘোষণা করেছিলন রাজ্যে। দীর্ঘ দিনের লকডাউনের ফলে আটকে পড়া মানুষের জীবনযাত্রা নতুন ছন্দে ফিরে আসে শনিবার সকাল থেকে। কিন্তু অনেকের মতে, এই আনলক প্রক্রিয়া বিপদ ডেকে আনতে পারে উপত্যকাবাসীর জন্য। কেননা উপত্যকার বর্তমানে করোনা প্রায় ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে উপত্যকায়। এমতাবস্থায় এই আনলক হওয়ার ফলে করিমগঞ্জ জেলা সহ উপত্যকার অন্য দুই জেলায়ও সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে অনেকেরই ধারণা।
এদিকে করোনা অতিমারি নিয়ে জনগণের মধ্যে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত অভাব রয়েছে সচেতনতার। সাধারণ মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বাজারে ভিড় করছেন। অনেকের মুখে নেই মাস্ক। অন্যদিকে লকডাউনের শেষ দিন শনিবার করিমগঞ্জে সর্বাধিক ১৬২ জন লোক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে দুই ব্যক্তির। ফলে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জেলার সচেতন মহলের মতে, করিমগঞ্জ জেলা সহ বরাকের অন্য দুই জেলায় আরও কয়েকদিন লকডাউন আইন জারি থাকলে ভাল হতো। জন্মজিত্ / এসকেডি