বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় বাংলাদেশি দুই জেলেকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি গুলি চালিয়েছে। এ ঘটনায় একজন অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসলেও অপর জেলে এখনো নিখোঁজ বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এই ঘটনার ব্যাপারে বিজিপি এবং বিজিবির মধ্যে সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে যোগাযোগের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, বুধবার সকালে নাফ নদীর টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর নাফ নদী সাঁতরে গুরা মিয়া নামের এক জেলে অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসলেও মোহাম্মদ ইলিয়াছ নামের আরেক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। এই দুই জেলে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বাসিন্দা।
তবে ঘটনায় নিখোঁজ থাকা জেলে ইলিয়াছ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ রয়েছে নাকি মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন বিজিবির এই কর্মকর্তা।
স্থানীয় বাসিন্দাসহ বিজিবির প্রাপ্ত তথ্যের বরাতে শেখ খালিদ বলেন, বুধবার সকালে নাফ নদীর টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল পয়েন্টে জলসীমার শূণ্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অন্তত ১০০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে নৌকা যোগে মাছ ধরছিল বাংলাদেশি দুই জেলে। এসময় মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা তাদের থামার জন্য নির্দেশ দিলে ওই জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমার দিকে পালিয়ে আসার চেষ্টা চালায়।
এতে বাংলাদেশি দুই জেলেকে লক্ষ্য করে বিজিপির সদস্যরা গুলি ছুড়ে। এসময় জেলেরা নৌকা থেকে নদীতে লাফ দেয়। ঘটনার পর গুরা মিয়া নামের এক জেলে অক্ষত অবস্থায় ফিরে এলেও আরেকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
বিজিবির কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনায় নিখোঁজ থাকা জেলের ভাগ্যে কি ঘটেছে বিজিবি এখনো নিশ্চিত নয়। সে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ রয়েছে নাকি বিজিপির সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে তা জানা যায়নি।
শেখ খালিদ জানান, ঘটনার ব্যাপারে বিজিপির সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে যোগাযোগ প্রক্রিয়া চলছে। চিঠি পাঠিয়ে নিখোঁজ থাকা জেলের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হবে।





