ঢাকা অফিস: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় বাদী তার পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট প্রশাসন। গতকাল শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সাধারণত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী)। তবে কোনো কোনো ভুক্তভোগী ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে তারা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ জন্য ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ বিষয়টি স্পষ্ট করতে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এসকে এম তোফায়েল হাসানের সই করা একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারী বা ভুক্তভোগী ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’-এর ২৫ ধারায় বর্ণিত বিধানাবলি অনুযায়ী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে কোনো অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হয় এবং ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ব্যক্তি পাবলিক প্রসিকিউটর বলে গণ্য হন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ এবং ৪৯৫ ধারার বিধানাবলি অনুসরণ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারী বা ভুক্তভোগীর পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিযুক্ত করে মামলা পরিচালনার সুযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার জন্য বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া আবশ্যক।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ এবং ৪৯৫ ধারার বিধানাবলি অনুসরণ করে ভুক্তভোগী বা অভিযোগকারী তার পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিযুক্ত করে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন বলে বিষয়টি স্পষ্ট করা হলো।