পঙ্কজকুমার দেব, হাফলং: ধস বিধ্বস্ত অসমের নিউ হাফলং পরিদর্শন না করেই পাহাড় ত্যাগ করলেন ইন্টার মিনিস্ট্রিয়াল সেন্ট্র্যাল টিম। শনিবার বিশেষ কপ্টারে করে কেন্দ্রীয় বিশেষ দলটি হাফলঙে অবতরণ করে। এনডিএমএর শীর্ষ কর্তা রবীনেশ কুমারের নেতৃত্বে চারজনের এক প্রতিনিধি দল এখানে উপস্থিত হন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন রোড ট্রান্সপোর্ট বিভাগের রিজিওনাল অফিসার অ্যাডেলবার্ট সুঙ্গি, বিত্ত বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টার, অঞ্জলি মৌর্য্য এবং আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথোরিটির যুগ্ম সচিব ও চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার পি বিজয় ভাস্কর রেড্ডি প্রমুখ।
শনিবার সকাল দশটা নাগাদ ইন্টার মিনিস্ট্রিয়াল সেন্ট্র্যাল টিমের হেলিকপ্টার সরকারী বাগানের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে। সেখান থেকেই সরাসরি শহরের একাধিক ধস বিধ্বস্ত এলাকা ক্রমে লোয়ার হাফলং সড়কপথ, মৌলহৈ গ্রাম, এনডি রাজি গ্রাম, মহাদেব টিলাস্থিত জিসি লাংথাসা হাইস্কুল, বড় হাফলঙের ধসে চলে যাওয়া সড়কপথ, নিউ হাফলং স্টেশন রোড এবং জাটিঙ্গা- হাফলং রোডের জেলা আদালতের কাছে থাকা সড়কপথের বেহাল অবস্থা পরিদর্শন করেন।
এরপর জেলাশাসক কার্যালয়ে এক পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ নেয় দলটি। বৈঠকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বন্যা তথা ভূমিস্খলনের সামগ্রিক তথ্য তুলে ধরা হয়।এদিন কেন্দ্রীয় দলটি নিউ হাফলং স্টেশন রোড পরিদর্শন করলেও প্রতিনিধি দল ধস বিধ্বস্ত নিউ হাফলং স্টেশন পরিদর্শন করেননি। এমনকি ধসে লণ্ডভণ্ড করা ইস্ট ওয়েস্ট করিডোরের জাটিঙ্গা- নেরিমবাংলো বা জাটিঙ্গা- হারাঙ্গাজাও মহাসড়কের বিধ্বস্ত রূপ দেখার সময় ছিল না কেন্দ্রীয় দলের কাছে।
এমনকি হাফলং-গুঞ্জুং সড়কপথের ধ্বংসাত্মক রূপ দেখতে যায়নি কেন্দ্রীয় দল। এছাড়াও জেলার অন্যান্য প্রান্তেও অনুরূপ ক্ষতিগ্রস্ত সড়কপথ, সেতু রয়েছে। কেন্দ্রীয় দলটি মাত্র কয়েক ঘন্টার পাহাড় ভ্রমণ সেরে অসমের গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এতে সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের মতে মহাসড়কের পাশাপাশি নিউ হাফলং স্টেশন পরিদর্শন করা জরুরি ছিল।
শনিবার হাফলং জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে পর্যালোচনা বৈঠক সেরে ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথোরিটির বিত্তীয় উপদেষ্টা রবীনেশ কুমার সাংবাদিকদের বলেন ‘ আমরা আজ ডিমা হাসাও জেলার ধস বিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। এবার সরকারের কাছে এক প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সরকারী নীতি নিয়মানুসারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।’
উল্লেখ্য এদিন জেলা শাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় ভাবে উপস্থিত ছিলেন অসমের হাফলঙের বিধায়ক নন্দিতা গর্লোসা, জেলাশাসক নাজরিন আহমেদ, পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের প্রধান সচিব টি টি দাওলাগুপু, পরিষদের নর্মাল সেক্টরের প্রধান সচিব মুকুট কেম্প্রাই প্রমুখ।