শিরোনাম
শুক্র. ডিসে ৫, ২০২৫

নির্বাচন সামনে রেখে তৎপর হয়ে উঠেছে হাইকোর্ট

নির্বাচন সামনে রেখে তৎপর হয়ে উঠেছেন হাইকোর্টের বিচারকের আসনে বসা সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে দেওয়া এক রায়ে বলা হয়েছিল দণ্ডিত ব্যক্তিদের সাজা হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত থাকলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। রায় ঘোষণার ৫ বছর পর ২২ অক্টোবর এটি প্রকাশ করা হয়েছে সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে। অর্থাৎ বিচারকরা রায়টি লিখতে ৫ বছর সময় নিয়েছেন।

বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানসহ ৫ জন পৃথকভাবে হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করেছিল নিম্ন আদালতের সাজা স্থগিত রাখতে। ৫ জনের বিষয়টি একসাথে শুনানী করেছিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকের আসনে বসা সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। শুনানীর পর ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল আবেদন।

৫ বছর পর সোমবার প্রকাশিত ৪৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারকরা স্বপ্রণোদিত পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে- জামিন বা সাজা স্থগিত থাকলেও তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যদি না তার সাজা উপযুক্ত আদালত কর্তৃক বাতিল না হয়। আপিল বিচারাধীন থাকা মানে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্দোষ নয়। একমাত্র উপযুক্ত আদালত কর্তৃক সাজা বাতিল হলে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্দোষ হবেন। দণ্ড বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া সাজা খাটার পর পাঁচ বছর অতিক্রম না হলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

রায়টি প্রকাশের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের কাছে আগাম জানিয়ে দিলেন রায় অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমসহ সাজাপ্রাপ্ত কেউই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

রোববার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপির পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতি মামলার সাজা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত শুনানি করে তাদের আবেদন খারিজ করেন। ফলে তাদের সেই সাজা বহাল রয়েছে। এর পরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একজনের (বিএনপি নেতা আমান) আপিল নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকি চারজনের মামলা এখনো হাইকোর্টে বিচারাধীন।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *