লণ্ডন, ১৮ সেপ্টেম্বর- ১২ রবিউল আউয়াল উপলক্ষে ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য ও যথাযথ মর্যাদায় সোমবার সারাদেশে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। এ উপলক্ষে ব্যক্তি পর্যায়ে নফল নামাজ-রোজা, দান-সদকার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের উদ্যোগে সিরাতুন্নবী (সা.), জশনেজুলুস, ওয়াজ-মাহফিল প্রভৃতি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের ঠিক একই তারিখে ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন তিনি। যেসময় গোটা আরব সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, নানারূপ ধর্মীয় অনাচার, কুসংস্কার ও পাপাচার লিপ্ত, ইসলামের ধারণায় এ সময়কে বলা হয় আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগ। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তি ও আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তায়ালা রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে পৃথিবীতে শেষ নবী ও রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেন। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করতে সরকারভাবে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল মহানবী (সা.)-এর জীবনীর ওপর আলোচনা, জুলুছ (র্যালী), মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, বাংলাদেশ বেতারের সাথে যৌথ প্রযোজনায় সেমিনার, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুৎবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ না’ত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ইসলামী ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী, ইসলামী বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। গত রোববার বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পক্ষকালব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এসময় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী পুরস্কার বিজয়ী হাফেজদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে উপহার হিসেবে সম্মাননা স্মারক ও নগদ অর্থ তুলে দেন ধর্ম উপদেষ্টা।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। আলোচনা সভা শেষে মুসলিম উম্মাহর সুখ-সমৃদ্ধি এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মানব জাতির রহমত স্বরূপ প্রেরিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোলে জন্ম নেন। তার পিতার নাম আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব।