শিরোনাম
বৃহঃ. ডিসে ১১, ২০২৫

পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে আসামের কাজিরঙ্গা জাতীয় উদ্যান এবং টাইগার রিজার্ভ

আসাম নিউজ ডেস্ক: ভ্ৰমণ পিপাসুদের জন্য সুখবর। অসমের কাজিরঙ্গা জাতীয় উদ্যান এবং টাইগার রিজার্ভ (KNPTR) গত রবিবার থেকে পর্যটকদের জন্য আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে।

বর্ষার মরসুমের কারণে গত চার মাস ধরে পার্কটি পর্যটকদের জন্য বন্ধ রাখা ছিল। জাতীয় উদ্যানের পরিচালক যতীন শর্মা বলেন, আগের বছরের মতোই, চার মাসের বর্ষাকাল (জুন থেকে সেপ্টেম্বর) পার্কটি বন্ধ ছিল কারণ বর্ষাকালে বন্যায় পশুদের আবাসস্থলের বিস্তীর্ণ এলাকা এবং অন্যান্য বন ও পার্ক এলাকা তলিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান- “বর্তমান রাস্তার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে, পার্কটি আংশিকভাবে শুধুমাত্র দুটি রেঞ্জে জিপ সাফারির জন্য খোলা হবে -সেটা হল কাজিরাঙ্গা রেঞ্জ (কোহোরা) এবং পশ্চিম রেঞ্জ (বাগরি),”৷

তিনি আরও বলেন যে, পর্যটকদের পশ্চিম রেঞ্জের বাগোরির অধীনে ডোঙ্গা টাওয়ার হয়ে বিমলি তিনালি পর্যন্ত এবং মিহিমুখ থেকে ডাফলং টাওয়ার হয়ে কাজিরাঙ্গা রেঞ্জের কোহোরার অধীনে ভাইচামারি জংশন পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে।

প্ৰতি বছর বন্যায় অসমে চাষের ফসল, পরিকাঠামো এবং সম্পদের ক্ষতি হয়, এর পাশাপাশি শত শত মানুষ প্ৰাণ হারায়। KNPTR-এ ২৬০০টিরও বেশি ভারতীয় গণ্ডারের বাসস্থান নষ্ট হয়েছে। বন্যার হাত থেকে রেহাই পায় না পশুরাও। বন্যায় প্ৰাণ হারিয়েছে অসংখ্য পশুর।

বন্যার প্রকোপ থেকে বন্য প্রাণীদের রক্ষা করার জন্য, অসমের বন ও বন্যপ্রাণী বিভাগ KNPTR এবং রাজ্যের অন্যান্য জাতীয় উদ্যান এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যগুলিতে মানবসৃষ্ট উচ্চভূমি নির্মাণ সমেত একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

শর্মা বলেছেন যে পার্কটিতে মোট ১৪৪টি মানবসৃষ্ট, বৈজ্ঞানিকভাবে ডিজাইন করা উচ্চভূমি রয়েছে, যার মধ্যে ৩৩টি বড় জায়গা রয়েছে, যেখানে বন্যার সময় উদ্যানের প্রাণীরা আশ্ৰয় নেয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *