কলকাতা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নজরদারির এলাকা বাড়ানোর প্রস্তাব বাতিল করেছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা। বিএসএফের এখতিয়ার বাড়ানোর প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ৬৩টি আর বাড়ানোর বিপক্ষে পড়ে ১১২টি ভোট।
গতকাল মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের নজরদারি বাড়ানো নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাব আলোচনার জন্য তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। এ সময় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবের প্রতিবাদ করেন তৃণমূলের বিধায়কেরা। অন্যদিকে নজরদারি এলাকা বাড়ানোর পক্ষে অবস্থান নেন বিজেপির বিধায়কেরা। বিরোধী দলের নেতা ও বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এই প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, সীমান্তে সন্ত্রাস, চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ বন্ধের জন্য নজরদারি এলাকা বাড়ানো প্রয়োজন। এ সময় সরকারের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ৫০ নয়, ৮০ কিলোমিটার করা হোক বিএসএফের নজরদারি এলাকা।
এ সময় তৃণমূলের বিধায়ক উদয়ন গুহ নজরদারি এলাকা বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, বিএসএফের অত্যাচারে সীমান্ত এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ, কেউ নিশ্চিন্তে থাকতে পারছে না। বিজেপির বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাস, চোরাচালান বন্ধ করতে নজরদারি এলাকা বাড়ানোর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত সঠিক। নজরদারি এলাকা বাড়ানো এবং বাতিল করা নিয়ে দুই দলের বিধায়কদের তুমুল বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে বিজেপির বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলে ওঠেন, ‘আপনার দলের একটি পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে আর বাকি পা-টাও ভেঙে দেওয়া হবে।’ উদয়ন গুহর এই বক্তব্যে অশান্ত হয়ে ওঠে বিধানসভার অধিবেশন, শেষমেশ স্পিকার ধমক দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপরে স্পিকারের নির্দেশে ভোটাভুটি হয়।