শফিকুল ইসলাম কাজল: ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে উত্তাল বঙ্গ-রাজনীতি। তার মধ্যেই এ বার রাজ্যের প্রায় ৬০০ বুথ লেভেল অফিসারকে (বিএলও) শো কজ় করল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। সূত্রের খবর, ওই সব বিএলও কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন! কেন তাঁরা অব্যাহতি চাইছেন, সেই কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিএলও-দের।
দিন কয়েক আগে থেকেই বিএলও-দের নিয়োগ শুরু করেছে কমিশন। কিছু দিন আগে ওই দফতরের সচিব বিনোদ কুমারকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর জানিয়েছে, একাধিক জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা বিএলও-র নিয়োগপত্র গ্রহণ করছেন না। কেন তাঁরা নিয়োগ চান না, তার কারণ জানাতে বলা হয়েছে। আগেও বেশ কয়েক জন বিএলও-কে একই কারণে শো কজ় নোটিস ধরানো হয়েছে। সেই নোটিস পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশও রয়েছে।
বিহারে এসআইআর পর্ব শেষ। তার পরেই ভোট ঘোষণা করা হয়। কমিশন জানিয়েছে, শুধু বিহার নয়, গোটা দেশেই এই সমীক্ষা করা হবে। এ রাজ্যে এসআইআরের প্রস্তুতি চলছে। সব জেলাতেই ম্যাপিং এবং আপলোডিংয়ের কাজ দ্রুততার সঙ্গে করা হচ্ছে। কমিশন সূত্রের খবর, ‘ম্যাপিং’-এর ক্ষেত্রে সর্বশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০০২ সালের এসআইআর-তালিকা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই আবহে এ বার বিএলও-দের একে একে শো কজ় নোটিস পাঠানো শুরু করেছে কমিশন।
অন্য দিকে, বুধ এবং বৃহস্পতিবার দেশের সব মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে (সিইও) দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকায় এসআইআর-কে কেন্দ্র করে বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।