পশ্চিমবঙ্গ নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজ্যের জেলার সংখ্যা একাধিক বেড়েছে। বাংলায় এখন ২৩ জেলা। এই সংখ্যা বেড়ে ২৮ হতে পারে। এ বিষয়েই আলোচনা শুরু হয়েছে নবান্নে। এবার ভাঙতে চলেছে দুই ২৪ পরগনাই। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভেঙে কটি জেলা হবে, কোন অংস নিয়ে কী জেলা, তা নিয়েই আলোচনা চলছে।
সুন্দরবন ছাড়া আরও বেশিসংখ্যক জেলা
২৪ পরগনা ভেঙে দুটি জেলা হয়েছিল আগে। প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত এই ২৪ পরগনাকে ভাঙা হয়েছিল ১৯৮৬ সালের ১ মার্চ। ২৪ পরগনা ভেঙে তৈরি হয়েছিল দুটি জেলা- উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তারপর মমতা বন্যোা পাধ্যায় সরকারে এসেই বলেছিলেন, সুন্দরবনকে নিয়ে তিনি আলাদা জেলা করবেন। এখনও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে এবার সুন্দনবন ছাড়া আরও বেশিসংখ্যক জেলা পেতে পারে বাংলা।
পশ্চিমবঙ্গে নতুন জেলা গড়ে তোলার ভাবনা
নবান্নে এখন আলোচনা চলছে, কীভাবে ভাঙা হবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকে। সুন্দরবন যেমন রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, তেমনই রয়েছে বাংলাদেশেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাংলায় একাধিক নতুন জেলা গড়ে তোলার। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনকে নিয়ে আলাদা জেলা গড়ার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
দুই ২৪ পরগনা ভেঙে ৫ জেলা হবে!
কিন্তু শুধু সুন্দরবনই নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনা ভেঙে পাঁচটি জেলা তৈরির ভাবনা রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকে ভেঙে দুটি জেলা কররা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে ভেঙে তিনটি জেলা করার ভাবনা।তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে দু’ভাগ না তিন ভাগ আগেই সুন্দরবনকে আলাদা জেলা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো সুন্দরবনকে বাদ রেখে বাকি দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে দু’ভাগে ভাগ করার ভাবনা-চিন্তা চলছে। যদি দুটি জেলা হয় তবে সুন্দরবন আর বাকিটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা থাকবে। যদি তিনটি জেলা হয়, তবে সুন্দরবন, আলিপুর ও ডায়মন্ডহারবার নিয়ে একটি জেলা এবং বারুইপুর ও ক্যানিং নিয়ে আর একটি জেলা হবে। একটি জেলায় থাকবে ১০টি ব্লক, অন্য জেলায় আটটি ব্লক। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই জেলা ভাগের পরিকল্পনা কিন্তু কেন ভাঙা হচ্ছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে। প্রথমত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে নানা কাজে জেলা সদরে আসতে হবে না সাধারণ মানুষকে। প্রশাসনিক কাজের পরিধি বাড়বে। কেন্দ্রীয় অনুদানের অঙ্ক বৃদ্ধি পাবে। আর একটি বিষয় হল পঞ্চায়েত ভোট। জেলাভাগের ফায়দা তুলতে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই তা করে ফেলতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন।