পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি: গত বৃহস্পতিবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৬৫৭। গত ২৪ ঘণ্টায় তা আরও খানিকটা কমে গিয়েছে। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০৮ জন।
বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণের গতি অনেকটাই নিম্নমুখী ছিল।
শুক্রবার সেই গতি আরও অনেকটা নিম্নমুখী। তা সাড়ে ৬০০-র নিচে নেমে গিয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা। কারণ রাজ্যের নিরিখে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি কলকাতায়। তালিকায় তারপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি ও হাওড়া।
গতকাল দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৬৫৭। গত ২৪ ঘণ্টায় তা আরও অনেকটা কমে গিয়েছে। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০৮ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৮ জন। করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ ১৮ হাজার ১৬।
দৈনিক মৃতের সংখ্যা সামান্য বেড়েছে। বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মৃত্যু হয়েছিল ১২ জনের। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬১৫ জন। রাজ্যে এখন সুস্থতার হার ৯৮.৩২ শতাংশ। মোট অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৬৭০।
রাজ্যের নিরিখে একদিনে সবথেকে কম সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কালিম্পংয়ে। সেখানে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ জন। তারপরই রয়েছে ঝাড়গ্রাম। এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ জন। এছাড়া উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলির মধ্যে আলিপুরদুয়ারে আক্রান্তের সংখ্যা ৩, কোচবিহারে ১১, দার্জিলিংয়ে ২৩, জলপাইগুড়িতে ১৪, উত্তর দিনাজপুরে ৩, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৪ ও মালদহে ১২।
রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায়। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৮ জন। তারপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২৭ জন। তালিকায় তার ঠিক পরেই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯। এরপরেই রয়েছে হুগলি। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ জন। তারপর রয়েছে হাওড়া। সেখানে আক্রান্ত ৩৭ জন।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে কম সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ঝাড়গ্রামে। ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪টি জেলার বাসিন্দার। তার মধ্যে দার্জিলিংয়ে ১ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ৫ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪ জন ও কলকাতায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।