কলকাতা প্রতিনিধি: পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলেও আজ সোমবার থেকে খুলে গেছে রাজ্যের সব হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
অবশ্য কলকাতার অনেক মন্দির কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, ১৫ জুন পর্যন্ত মন্দির বন্ধ রাখবে তারা।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলেও আজ সোমবার থেকে খুলে গেছে রাজ্যের সব হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
অবশ্য কলকাতার অনেক মন্দির কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, ১৫ জুন পর্যন্ত মন্দির বন্ধ রাখবে তারা।
কলকাতা পৌর করপোরেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আজ থেকে শতভাগ কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে খুলবে করপোরেশন অফিস। প্রতিটি দপ্তরে কাল থেকে শুরু হবে যথারীতি কাজ। কেউ আজ অফিসে অনুপস্থিত থাকলে তা অনুপস্থিত হিসেবে গণ্য হবে।
আজ থেকেই পুরোপুরি খুলেছে রাজ্যের সব সরকারি অফিস ও আদালত। তবে সব খুললেও পরিবহন ব্যবস্থা এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
বেসরকারি অধিকাংশ বাস-মিনিবাস পথে নামেনি। সরকারি বাসও অপ্রতুল। লোকাল ট্রেন ও মেট্রোরেল এখনো চালু হয়নি।
গতকাল রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লোকাল ট্রেন জুন মাসে আর চালু হচ্ছে না।
কলকাতার বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি গতকাল এক বৈঠক শেষে জানিয়েছে, আজ দুই হাজার বেসরকারি বাস-মিনিবাস পুরোনো ভাড়া নিয়ে নামবে।
গতকাল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়েছে ৪৪৯ জন। মারা গেছে ১৩ জন।
এ নিয়ে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১৮৭। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৪। সেই সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গের সঙ্গে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরও ৭২ জন। সব মিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৬।
করোনা চিকিৎসায় আরও ৮টি হাসপাতাল ঠিক করেছে রাজ্য সরকার। এখন রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে ৬৯টি করোনা হাসপাতাল রয়েছে।
এ ছাড়া শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে পুরোপুরি কোভিড হাসপাতালে রূপ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ভর্তি নেওয়া হবে না অন্য কোনো রোগী।
মুর্শিদাবাদের ক্রিস্টিও সেবাসদন, কল্যাণীর যক্ষ্মা হাসপাতাল, হাওড়ার টিএলজে হাসপাতাল, দার্জিলিংয়ের ত্রিবেণী ট্যুরিস্ট লজ, মালদার মডার্ন স্কুল, বীরভূমের রামপুরহাটের মধুমাতা লজকে পুরোপুরি কোভিড হাসপাতালের রূপ দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির অবনতি জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনাকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, রাজ্যে বিপুলসংখ্যক মৌসুমি শ্রমিক ঢুকে পড়ায় বেড়েছে সংক্রমণ। রাজ্য সরকার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমিয়ে এনেছিল। তবে কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা ছাড়াই এই রাজ্যে বিভিন্ন রাজ্যের ৮ লাখ মৌসুমি শ্রমিক ঢুকিয়ে দেওয়ায় করোনা পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে।
রাজ্য সরকার এখন এই পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নেমেছে জানিয়ে মমতা বলেন, মৌসুমি শ্রমিকদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের কোয়ারেন্টিনে থাকা ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।