শিরোনাম
শুক্র. ডিসে ৫, ২০২৫

পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বাঙালি বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়

পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস কার্যত বড় চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যে সন্ত্রাস ইস্যুতে শাহের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর কাছে সন্ত্রাস নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে সন্ত্রাস নিয়ে একের পর এক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও।

গত কয়েকদিন আগেই তিন ধর্ষিতা মহিলা সুপ্রিম কোর্টে বিচার চেয়ে মামলা করেছেন। এর আগে দুই বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনায় সিবিআই চেয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলায় শুনানিও হয়েছে। কিন্তু হঠাত করেই সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি।

তৃণমূলের হাতে খুন হতে হয় দুই বিজেপি কর্মীকে। এমনটাই অভিযোগ। একাধিকবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন দুই বিজেপি কর্মীর পরিবারকে। বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চে পিটিশন দায়ের হয়।

বিশ্বজিত সরকার নামে এক ব্যক্তি ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা দায়ের করেন। একাধিকবার এই মামলার শুনানিও হয়েছে। কিন্তু হঠাত করেই এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাত কেন এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। বাঙালি। সেখানে দাঁড়িয়ে কি তাঁর এজলাসে মামলার শুনানি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। শুধু তাই নয়, নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে বলে আশঙ্কা বিচারপতির? আর সেই কারণেই বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় সরে দাঁড়ালেন বলে অনুমাণ আইনজীবীদের একাংশ।

যদিও বিচারপতি জানিয়েছেন, ”এই মামলায় আমার কিছু অসুবিধে রয়েছে।” তবে কি সমস্যা রয়েছে তা বিস্তারিত ভাবে কিছু জানাতে চাণনি বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়।

মামলা থেকে বিচারপতি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে আপাতত এই মামলার শুনানি বন্ধ রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে শীর্ষ আদালতের রেজিস্টারকে এই মামলা অন্য কোনও বিচারপতির এজলাসে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এখনও তা দেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে, ভোট গণনা কারচুপির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আজ শুক্রবার সেই মামলার শুনানি শুরু হয় বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চে।যে বেঞ্চে এই মামলা হয়েছে তা নিয়েই বিতর্ক।

আইনজীবীদের একাংশের অভিযোগ, বিচারপতি বিজেপির একটা সময় সক্রিয় সদস্য ছিলেন। সেখানে তৃণমুলের দায়ের করা মামলার বিচার নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ আইনজীবীদের।

এমনকি, খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী প্রধান বিচারপতির কাছে বেঞ্চ বদলের দাবি জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *