প্রতীতি ঘোষ,বারাসত: উমপুন দুর্নীতিতে জড়িত থাকার জন্যই উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অংশুমান রায়কে তাঁর পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরানো হয়েছে। বারাসাতের জেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরে বেরনোর পর সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে হালিশহর পুরসভার পুর প্রশাসক অংশুমান রায় তাঁর পুর প্রশাসকের পদ ছেড়ে দেন। দুই বারের নির্বাচিত পুর প্রধান অংশুমান রায় সেই সময় প্রশাসকের পদ ছেড়ে দিয়ে বলেন ” আমি নিজে ব্যক্তিগত কারনে পুর প্রশাসকের পদ ত্যাগ করেছি। আমি আমার পরিবারের সাথে একান্তে সময় কাটাতে চাই তাই পুরসভার সমস্ত কাজ ও পুর প্রশাসকের পদ ছেড়ে দিচ্ছি। তবে আমি তৃণমূল দল ছাড়ছি না।”
কিন্তু মঙ্গলবার রাতে তাঁর এই দাবি উড়িয়ে দিলেন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন বারাসাত জেলা শাসকের দফতরে এক প্রশাসনিক বৈঠকে অংশ নিতে এসে আমপান দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেন “উমপুন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য যে সরকারি অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল তাদের মধ্যে বেশিরভাগকেই তাদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আর এই অর্থ নিয়ে যারা দুর্নীতি করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে দল।”
তিনি এই,উমপুন দুর্নীতি নিয়ে আরও বলেন “ইতিমধ্যেই তৃণমূল দলের ৮৭ জন পদাধিকারি কে আমপান দুর্নীতিতে জড়িত সন্দেহে শোকজ করা হয়েছে। এদের মধ্যে যেমন রয়েছে বিভিন্ন পঞ্চায়েতের সদস্য ,পঞ্চায়েত প্রধান তেমনিই রয়েছে হালিশহরের প্রাক্তন পুর প্রধান তথা পৌর প্রশাসক অংশুমান রায়।”
তিনি আরও বলেন, “উমপুন ত্রাণের অর্থ নিয়ে দুর্নীতি করার অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে উঠেছে দল তার তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে উমপুন ইস্যুতে যারা সরকারের টাকা অন্যায় ভাবে নিয়েছিল তারাই চেক ও ড্রাফটের মাধ্যমে টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। ফলে উমপুন দুর্নীতি ইস্যুতে কয়েক কোটি টাকা সরকারের ঘরে জমা পরেছে। উমপুন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আছে তার উপযুক্ত প্রমাণ পেলেই আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেবো। উপযুক্ত প্রমাণ পেয়ে যেমন হালিশহরের পুর প্রশাসক অংশুমান রায় কে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”