সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেছেন, যথাযথ মান উন্নয়নের মাধ্যমে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার পর্যটনবান্ধব করতে নানাবিদ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। পাহাড়পুরসহ বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক স্পটগুলোতে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামোকে মজবুত করারও যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে ঐতিহাসিক পাহাড়পুর জাদুঘর মিলনায়তনে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারকে দর্শকবান্ধব করার লক্ষ্যে অংশজনের অংশগ্রহণে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর রাজশাহী ও রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয় বগুড়া এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব রতন চন্দ্র পন্ডিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারকে কিভাবে আরও আকর্ষণীয়, আরও দর্শকনন্দিত এবং ভ্রমণপিপাসুদের নিকট আরও গুরুত্ববহ করে তোলা যায় সে ব্যাপারে পরামর্শ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ-২ (ধামইরহাট-পত্নীতলা) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ (মহেদবপুর-বদলগাছী) আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদা, অতিরক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মিল্টন কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈনুল ইসলাম, বদলগাছি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলপনা ইয়াসমিন, বদলগাছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান, পর্যটন পুলিশের পরিদর্শক সাজেদুর রহমান প্রমুখ।
পাহাড়পুরকে দর্শকবান্ধব করতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নানা পরিকল্পনা গ্রহণের কথা উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশী-বিদেশী পর্যটকদের অধিকতর আকৃষ্ট করতে পাহাড়পুর এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা, আবাসিক ব্যাবস্থাসহ আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। পাহাড়পুর ছাড়াও বর্তমান সরকার পর্যটন খাতকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করছে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে হলে পর্যটনখাতকে শক্তিশালী করার কোন বিকল্প নাই।
সেমিনার শেষে প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ পরে পাহাড়পুর ঐতিহাসিক নিদর্শনস্থলে নবনির্মিত দি হেরিটেজ ক্যাফে নামের একটি আধুনিক ও মানসম্পন্ন হোটেলের উদ্বোধন করেন।