- বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনে কৌশলে নানা কথা বলছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
- হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা ও মঈন ইউসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইবুনালে অভিযোগ।
আবদুল ওয়াহিদ তালিম, লণ্ডন, ১৮ ডিসেম্বর- ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর যদি জাতিকে মেধাহীন আর শক্তিহীন করার দিনহয়ে থাকে তাহলে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তার চাইতে অনেকগুন বড় আকারের মেধাহীন আর শক্তিহীন করার দিন। মাত্র দুইদিনে তৎকালীন বিডিআর সদরদফতর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নির্মম ও পৈশাচিক কায়দায় যা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের ইতিহাসে নেই। এমনকি বিশ্বযুদ্ধেও এরকম করে শেষ করা হয়নি এতগুলো সেনা সদস্যকে। একজন আর্মি অফিসার তৈরী করতে একটি দেশের বহু দিনের শ্রম, অর্থ, মেধা, প্রশিক্ষণ আর বহু বছর সময় লাগে। অথচ তাদের শেষ করে দেয়া হয়েছিলো মাত্র দুই দিনে। হয়েছিলো বিচারের নামে প্রহসন।
এই ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিডিআর উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিগত পতিত স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে ভারতীয় চাপে এই নারকীয় হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু কোন তদন্ত হয়নি, বরং প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে, নিরপরাধ বিডিআর সদস্যেদর মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। ফলে ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর বিডিআর হত্যার পুনঃতদন্তদের দাবি ওঠেছিলো। নেপথ্যের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে পিলখানায় শহীদ সেনা সদস্যের পরিবার ও দণ্ড হওয়া বিডিআর সদস্যদের পরিবার ছাড়াও দেশের সাধারণ মানুষ পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়ে আসছিলো। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও পুনঃতদন্ত হবে বলে জানিয়েছিলেন। তবে রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে হাইকোর্টকে জানানো হয়, পিলখানার ঘটনায় দুটি মামলা বিচারাধীন থাকায় এ নিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করা হলে বিচারাধীন মামলার সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি হবে। ফলে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এর আগে আইন মন্ত্রাণালয় থেকে জানানো হয়েছিলো বিচারাধীন মামলা থাকলে কমিশন গঠনে কোন বাধা নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় থেকেও বিডিআর হত্যার পুরো ঘটনার তদন্তে কমিশন গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। ফলে নতুন করে বিচারাধীন মামলার অজুহাতে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসাটাকে নেটিজেনরা সন্দেহের চোখে দেখছেন। নেটিজেনরা বলছেন, পিলখানা হত্যাকান্ডে নেপথ্যে জড়িত ও ইন্ধনদাতাদের রক্ষায় মরিয়া প্রভাবশালী চক্র। ওই চক্রের ইশরাতেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনে কৌশলে নানা কথা বলছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। পিলখানায় বিডিআরে কর্মরত চৌকশ দেশপ্রেমিক ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যার সাথে পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের রাজনীতিবিদরা জড়িত থাকার পাশাপাশি ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার তথ্য ওপেন সিক্রেট। একই সাথে কতিপয় দুর্নীতিবাজ ও উচ্চ বিলাশী তৎকালিন সেনা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার তথ্যও নানা মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতীয় এজেন্ট এবং কতিপয় তৎকালিন সেনা কর্মকর্তাদের রক্ষায় বর্তমান আন্তবর্তীকালিন সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন যেন না হয় সে জন্য নেপথ্যে থেকে কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নেটিজেনদের কেউ বলছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমকে বহাল রেখে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্ভব নয়। করলেও সেটি কতটুকু ফেয়ার হবে, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। এর অসংখ্য কারণ আছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্য শুরু করার জন্য বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী একজন সমস্যাজনক ব্যক্তি। যখন প্রথম তদন্ত কমিশন গঠন হয় হাসিনার আমলে তখন উনার হাতেই ছিলো দায়িত্ব। মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের আগে উনি বিডিআরের মহাপরিচালক ছিলেন। উনার ইমিডিয়েট পরেই শাকিল আহমেদ আসেন বিডিআরে। যাকে হত্যা করা হয়। উনার সময়ের ফলাফল আমরা জানি। কিচ্ছু হয়নি বিচারের। শুধু এভিডেন্স গায়েব করা হয়েছে আর অসংখ্য নিরীহ বিডিআর সদস্যকে মেরে ফেলা হয়েছে নানান কায়দায়। বাকিদের জেলখানায় পচিয়ে মারা হচ্ছে৷ বিডিআর অফিসার ও জওয়ানদের কথা বলবার জায়গাতো রাখা হয়’ইনি, এমনকি ছেলেমেয়েদের পর্যন্ত চুপ রাখা হয়েছে ভয় দেখিয়ে। আর আর্মীদের চুপ রাখা হয়েছে কখনো টাকা আর কখনো হুমকি দিয়ে। উই নৌ দ্যাট। ওপেন সিক্রেট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনেই পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচারের এখতিয়ার। যখন জাহাঙ্গীর সাহেব এলেন তখনই বুঝেছিলাম, এই বিচার ঝুলে যাবে৷ হলোও তাই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিলখানা হত্যাকান্ডের সেই বীভৎস দৃশ্যাবলি এদেশের মানুষের মন থেকে আজও মুছে যায়নি। কতিপয় বিডিআর সদস্য যে এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করতে পারে, সে কথাও মানুষ বিশ্বাস করে না। তাদের অনেকেই মনে করেন, পর্দার আড়াল থেকে কেউ না কেউ এ ঘটনায় ইন্ধন জুগিয়েছে। সেই ইন্ধনদাতা কারা? তারা কি এদেশেরই লোক, নাকি ভারথীয় এজেন্ট? পিলখানা হত্যাকান্ডের অনেক আগে ঘটে যাওয়া কিছু কিছু ঘটনা বিচার-বিশ্লেষণ করে অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন, কেবল কিছুসংখ্যক মধ্যম ও নিন্ম সারির বিডিআর সদস্য দ্বারা এতবড় ঘটনার পরিকল্পনা করা সম্ভব নয়। এ ঘটনায় স্বার্থান্বেষী মহলের কোনো না কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে। আদালতও পূর্ণাঙ্গ রায়ে তারই প্রতিধ্বনি করে বলেছেন, বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র। দেশ-বিদেশে আলোচিত এই পিলখানা হত্যাকান্ডের মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত বলেছেন, ওই ঘটনা ছিল রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক-সামাজিক নিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র। শুধু তাই নয়, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একটি দক্ষ, প্রশিক্ষিত বাহিনীকে ধ্বংসেরও চেষ্টা।
‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ এর আহবায়ক ও রাষ্ট্রচিন্তক হাসনাত আরিয়ান খান প্রতিবেদককে বলেন, ‘India orchestrated the BDR mutiny in Bangladesh in 2009’ শিরোনামে ‘SOAS’ University of London এর ‘Department of Politics and International Studies’ এর শিক্ষক ড. অবিনাশ পালওয়াল ইন্ডিয়ার ‘the Hindustan Times’ এ একটি কলাম লিখেছিলেন। সেই কলামের শেষ দুটি অনুচ্ছেদে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, সেদিন ইন্ডিয়ার চাপে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিডিআর সদর দপ্তরে সামরিক অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত থেকেছিলো। ইন্ডিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের সাথে তাদের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়েছিলো। পিলখানা হত্যাকান্ডের নেপথ্যে দিল্লির শাসকেরা কলকাঠি নাড়ছিলো। তাদের সাথে বাংলাদেশের মীরজাফর, জগৎশেঠ, রায় দুর্লভ ও ঘষেটি বেগমের বংশধরেরা হাত মিলিয়েছিলো। ২৫ মে পৃথিবীর সব চ্যানেলকে পেছনে ফেলে ইন্ডিয়ান টিভি চ্যানেল বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১৩ মিনিটে সর্বপ্রথম বিডিআর মহাপরিচালকের নিহত হওয়ার খবর প্রচার করেছিলো। তিনি আরো বলেন, বহুবিধ কূটচক্রান্ত ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পিলখানায় এ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিলো। বিদ্রোহের নারকীয় রূপ এ সত্যকে উদঘাটিত করে যে, এটা কেবল বিডিআর জওয়ানদের সমস্যা-সংশ্লিষ্ট দাবি কিংবা সেনা কর্মকর্তা বিরোধী অনুভূতির জন্যই ঘটেনি, ওই অজুহাতগুলোকে বরং ব্যবহার করা হয়েছে। বিডিআর সদর দফতরে যা ঘটেছে, তা স্বতঃস্ফূর্ত বিদ্রোহ ছিল না। এটা ছিল আমাদের গর্বের সেনাবাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করার আমাদের শত্রুদের চক্রান্তের অংশ। দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার জন্যই এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পূর্ববর্তী সকল কমিশন বাতিল করে নতুন করে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করুন। কমিশনে একজন আন্তর্জাতিক গণহত্যা সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞকে অন্তর্ভুক্ত করুন। সেদিনের ঘটনায় হাসিনাকে যারা সরাসরি প্রশ্ন করেছিলো ভয় ভীতি ভেঙে সেইসব অফিসারদের সামনে আনুন, তাদের রাখুন। বিডিআরের ডিজি শহীদ মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে ব্যারিস্টার রাকিন আহমেদ এবং শহীদ কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে সাকিব রহমান সহ আরও যারা অফিসারদের টিন এইজড সন্তান ছিলেন সেসময় তাদের বক্তব্য শুনুন। সেসময়কার ইয়াং অফিসার্স ও ক্যাডেটসরাও অনেক কিছু জানেন। ওইসময় ক্যাডেট কলেজ ব্লগ ও ক্যাডেটস গ্রুপে টাইম টু টাইম আপডেট দেয়া হচ্ছিলো ঘটনার। তাদের কাছে অনেক এভিডেন্স আছে। অনেকের বক্তব্য ও গতিবিধির তথ্য আছে। পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইন্ডিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে জিজ্ঞাসা করুন, ২৫ ফেবু্রয়ারি সকালে তার কাছে কি গোয়েন্দা তথ্য পাঠানো হয়েছিল? বিডিআরের প্রয়াত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের সঙ্গে সর্বশেষ তার কি কথা হয়েছিল? তিনি কেনো ২৬ ফেবু্রয়ারি পিলখানায় ডিনারে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন? নরেন্দ্র মোদি সরকার কেনো শেখ হাসিনাকে বিশেষ নিরাপত্তা দিতে চেয়েছিলেন এবং সীমান্ত সংলগ্ন আসামের জোড়হাট বিমান ঘাঁটিতে বেশ কিছু যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রেখেছিলেন? মোদি সরকার কেনো বিডিআরের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বাংলাদেশকে প্রদান করতে প্রস্তুত ছিলেন? বিডিআর বিদ্রোহীদের যে প্রতিনিধিদলটি তার সঙ্গে সেদিন বৈঠক করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢোকার সময় তাদের নাম-ঠিকানা কেন রেজিস্ট্রি করা হয়নি? ২৭ ফেবু্রয়ারি তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় কেনো পালিয়ে যাওয়া বিদ্রোহীর সঙ্গে দেখা করতে দুবাই গিয়েছিলেন? আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় দেয়া বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জয় কেন সেনাবাহিনীর সমালোচনা করে বিদ্রোহের জন্য সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছিলেন? তদন্ত শেষ হওয়ার আগে জয়কে কেনো তিনি বাংলাদেশে আসতে নিষেধ করেছিলেন? শেখ সেলিমকে জিজ্ঞাসা করুন, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে নিজ বাসায় না থেকে তিনি কেনো অন্যত্র রাত্রিযাপন করেছিলেন? ২৪ তারিখে সন্ধ্যায় তোরাব আলীর বাড়িতে; একই রাত্রে তাপসের বাড়িতে ২৪ জন বিডিআরের পোশাক পরা লোক কী করছিলেন? জাহাঙ্গীর কবির নানক, মীর্জা আজম আর তাপসকে সেইফ কাস্টডিতে রাখুন। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করুন। তারা কেনো হত্যাকারী ও তাদের সহযোগীদের বিচার সামরিক আদালতের পরিবর্তে বেসামরিক আদালতে দাবি করেছিলেন? মীর্জা আজমকে জিজ্ঞাসা করুন, তিনি কেনো হত্যাকারীদের সাথে সেল ফোনে কথা বলে সুনির্দিষ্ট ভাবে কর্ণেল গুলজারের চোখ তুলে ফেলতে বলেছিলেন? তাপস ও নানককে জিজ্ঞাসা করুন, ২৫ এবং ২৬ ফেবু্রয়ারি কার নির্দেশে বিডিআর হেডকোয়ার্টারের আশপাশের লোকজনকে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলা হয়েছিল? মির্জা আজম, হাজী সেলিম, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, ফজলে নূর তাপস ও মহীউদ্দীন খান আলমগীর কার নির্দেশে বেশ কয়েকটি বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন? বাংলাদেশের কোন মিডিয়া জানার আগেই ইন্ডিয়ার এনডিটিভি সব জেনে গিয়েছিলো। সেদিন তারা মিনিটে মিনিটে নিউজ বুলেটিন প্রচার করছিলো। তারা কার কাছ থেকে, কোথা থেকে তথ্য পাচ্ছিলো, অনুসন্ধ্যান করুন। এর তদন্ত করলেই ঘটনার পেছনের সব সত্য বের হয়ে আসবে।
হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা ও মঈন ইউসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইবুনালে অভিযোগ
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনকে আসামি করে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দপুর ২টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পিলখানা গণহত্যায় শহীদ সেনা অফিসারদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগ জমা দেন।
এসময় তৎকালীন বিডিআরের ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে ব্যারিস্টার রাকিন আহমেদ, শহীদ কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী ফেরদৌসী, কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে সাকিব রহমানসহ ১৫-২০ জন শহীদ পরিবারের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।