কমিউনিটি নিউজ ডেস্ক: গত রবিবার আপাসেনের স্পেইস হাব ডে সেন্টার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কিডনী ফাউন্ডেশন সিলেট ও শহীদ মেমোরিয়াল গার্ডেন-এর এক বিশেষ পরিচিতিমূলক সভা। এ উপলক্ষ্যে পূর্ব লন্ডনের ভ্যালেন্স রোডে আপাসেনের নবনির্মিত স্টেইট-অব-আর্থ ডে সেন্টারে জড়ো হয়েছিলেন কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কিডনী ফাউন্ডেশন সিলেট ও মুক্তিযুদ্ধকালীন গণকবর এবং শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ নিয়ে দু’টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। আপাসেনের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী মাহমুদ হাসান এমবিই। এ সময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বৃটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম, কিডনী ফাউন্ডেশন সিলেট ও শহীদ মেমোরিয়াল গার্ডেন-এর উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও কর্ণেল (অব:) মোহাম্মদ আবদুস সালাম বীর প্রতীক।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আপাসেনের বোর্ড অব ট্রাস্টি চেয়ার আমীর হোসেন, শিক্ষক ও উদ্যোক্তা ইমতিয়াজ আহমেদ এবং তরুন প্রজন্মের প্রতিনিধি প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও নাট্যকার আনিকা উদ্দীন। বক্তারা বলেন, কিডনী সংক্রান্ত জটিলতায় বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর এক বিরাট অংশ ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়। তাঁরা বলেন, সঠিক চিকিৎসা এবং ডায়ালেসিস-এর মাধ্যমে মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।
উদ্যোক্তারা জানান, শুরু থেকেই কিডনী ফাউন্ডেশন সিলেট দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে নামমাত্র মূল্যে কিংবা বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করে যাচ্ছে। বক্তাগণ কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষকে মহতী এই উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত হবার আহবান জানান। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে কমিউনিটির প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিবর্গের সাথে প্রশ্নোত্তর ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সিলেট ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন শহীদ মেমোরিয়াল গার্ডেন প্রতিষ্ঠায় যারা নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছেন তাঁদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে আপাসেনের পক্ষ থেকে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী মাহমুদ হাসান এমবিই বৃটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম, কিডনী ফাউন্ডেশন সিলেট ও শহীদ মেমোরিয়াল গার্ডেন-এর উদ্যোক্তা অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও কর্ণেল (অব:) মোহাম্মদ আবদুস সালাম বীর প্রতীক এবং ইমতিয়াজ আহমেদকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন।
সবশেষে সাংস্কৃতিক পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন মুস্তাফা কামাল মিলন এবং রিপা রকিব। প্রেস বিজ্ঞপ্তি