- অভিযোগের উত্তর দিতে অপারগ আনোয়ারুজ্জামান।
- সিনিয়র সাংবাদিকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ।
- যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক জামাল খানের ভোল বদল।
- মেয়র হয়েই মিডিয়ার কাছে অমেয়রসূলভ বক্তব্য।
- স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বিস্মিত।
কমিউনিটি নিউজ ডেস্ক: পাঁচটি গুরুতর অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হওয়ায় বিলেতের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের আনোয়ারুজ্জামানের নৈশ ভোজের নিমন্ত্রণ সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংবাদিক প্রত্যাখান করেছেন। মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পক্ষ থেকে লণ্ডন বাংলা ক্লাবের সেক্রেটারি তাইসির মাহমুদ ও এক নং নির্বাহী সদস্য আহাদ চৌধুরী বাবু ক্লাবের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বার বার নিমন্ত্রণ পত্র দেয়ার পরেও লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ৩২৩ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র বিশ-ত্রিশজন সদস্য উপস্থিত হয়েছেন। এর মাঝে একজন সিনিয়র সাংবাদিক নৈশ ভোজে গিয়েও আয়োজকদের অসৌজন্যমূলক আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে অনুষ্ঠানস্থল বর্জন করেছেন। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সাতটায় অনুষ্ঠানের কথা বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের দেড় ঘন্টা বসিয়ে রেখে নিজে সাড়ে আটটায় অনুষ্ঠানস্থলে এসেছেন। অনুষ্ঠানস্থলে এসেই তিনি দেরিতে আসার জন্য দু:খ প্রকাশ না করে তার নেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার নামে তসবিহ জপার মত করে তসবিহ জপেছেন। আপারা আমার মত নগণ্য ব্যাক্তিকে সুযোগ দিয়েছেন। জাতির জনকের কন্যারা আমার মত প্রবাসীকেও সুযোগ দিয়েছেন। নেত্রী আমাকে চেয়েছেন। অর্থাৎ নিজের যোগ্যতা বা জনগণের ভোট কিছু না। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তাকে সুযোগ দিয়েছেন তাই তিনি মেয়র হয়েছেন। কাজেই মেয়র হিসেবে আগামী পাঁচ বছর তিনি শুধু তাদের নামই জপবেন। সাংবাদিকদের সাথে প্রথম মোলাকাতেই তিনি সেটা জানান দিয়েছেন।
অভিযোগের উত্তর দিতে অপারগ আনোয়ারুজ্জামান
শেখ রেহানার প্রার্থী বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের কাছে পরিচিত যুক্তরাজ্য প্রবাসী মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাঁচটি হলো:-
১। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে তিনি যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন, তাতে যুক্তরাজ্যে থাকা তাঁর সম্পত্তির তথ্য উল্লেখ করেননি। অথচ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বলা আছে, প্রার্থীর সম্পদের হিসাব হলফনামায় দেখাতে হবে। নির্বাচনী আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রার্থীর দেশে–বিদেশে যেখানেই সম্পদ থাকুক, তা হলফনামায় দেখাতে হবে। কিন্তু তিনি এই আইন ভঙ্গ করে বিদেশে থাকা তাঁর সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। প্রশ্ন হলো- বৈধ সম্পদ হলে তিনি কেন তাঁর বৈধ সম্পদের তথ্য লুকাবেন? এটা তো লুকানোর কোনো বিষয় নয়। সাধারণত নির্বাচন কমিশন প্রার্থীর হলফনামার তথ্য যাচাই–বাছাই করে না। তবে কেউ চ্যালেঞ্জ করলে তথ্য–উপাত্ত দিলে নির্বাচন কমিশন তা খতিয়ে দেখে। এ ধরনের ঘটনায় যদি কোনো তথ্য গোপন করেন এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁর প্রার্থীতা বাতিল হতে পারে। প্রার্থীতা বাতিলের নজির আছে।
২। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন দ্বৈত নাগরিক। যুক্তরাজ্যের সরকারি সংস্থা কোম্পানী হাউজের ওয়েবসাইটে ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে তাকে সাতটি কোম্পানীর ডিরেক্টর হিসেবে দেখানো হয়েছে। সবকয়টিতে তাঁর জাতীয়তা ব্রিটিশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের আগে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তাঁর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন বলে কোন ঘোষণা দেননি এবং এই মর্মে কোন প্রমাণও পাওয়া যায়নি। কিন্তু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) বা নির্বাচন বিধি অনুসারে কোন বিদেশি নাগরিক অথবা দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী ব্যাক্তি বাংলাদেশে নির্বাচনের অযোগ্য বলে ঘোষিত হবেন। সেক্ষেত্রে একটি নাগরিকত্ব (অর্থাৎ বিদেশী নাগরিকত্ব) তাকে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগেই পরিত্যাগ করার কথা। অথচ তিনি তা করেননি। এ নিয়ে অতীতে বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে বেশ কয়েকটি মামলার দৃষ্টান্ত রয়েছে।
৩। নির্বাচনী হলফনামায় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার স্থলে “বিএ (অনার্স) ব্যবসা” উল্লেখ করেছেন। অথচ এমন কোনো ডিগ্রি তাঁর নেই বলে জানা গেছে। একারণে এই সনদের সত্যায়িত অনুলিপি তিনি হলফনামায় সংযুক্ত করেননি। অথচ স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) বিধিমালা অনুসারে সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত অনুলিপি হলফনামার সঙ্গে সংযুক্ত করার কথা। আর বিধিমালা অনুসারে হলফনামায় অসত্য তথ্য দিলে তদন্ত করে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীতা বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন।
৪। ভোটের আগের দিন মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানের প্রার্থীতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তাঁর হলফনামায় জন্মতারিখ ১৯৭০ সালের ১ জুন উল্লেখ করেছেন। অথচ তাঁর এসএসসি পরীক্ষার সনদপত্রে জন্মতারিখ ১৯৭২ সালের ১ জুন। এসএসসির সনদে উল্লেখিত জন্ম তারিখে ও হলফনামায় দেওয়া জন্মতারিখে গরমিল আছে। শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথে এসব দিক তুলে ধরে রিটটি করা হয়েছে।
৫। মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান ও তাঁর অনুগত কর্মীদের বিরুদ্ধে রাতের আধাঁরে নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসারদের বাসায় গিয়ে নগদ অর্থ বিতরণের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রত্যেক প্রিসাইডিং অফিসারকে ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রিসাইডিং অফিসার নিজে ৫০,০০০ টাকা পেয়েছেন বলে গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন।
এসব সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে গণমাধ্যমকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আজ পর্যন্ত কোনো জবাব দেননি। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিয়ে জনগণের কাছে তিনি নিজের অবস্থান পরিস্কার করতে পারেননি। উপরন্তু নির্বাচনী মনোনয়নপত্রে সম্পদের তথ্য গোপন সম্পর্ক নির্বাচনের আগে দেশের শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি নির্বাচনী ব্যস্ততার কথা বলে এড়িয়ে যান এবং পরে যোগাযোগ করবেন বলে জানান। কিন্তু নির্বাচনের পরে তিনি আর প্রথম আলোর সাথে যোগাযোগ করেননি। বিলেতের কোন সংবাদ মাধ্যমেও তিনি এসব অনিয়মের বিষয়ে কোন রকম জবাবদিহি করেননি। ফলে তাঁর নৈশ ভোজের নিমন্ত্রণ বিলেতের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংবাদিক গ্রহণ করেননি।
যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক জামাল খানের ভোল বদল
আয়োজকদের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ খান জানিয়েছিলেন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা যে কোন প্রশ্ন করতে পারবেন। সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়া হবে। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরু হলে তিনি তার ভোল পাল্টে ফেলেন। একজন সিনিয়র সাংবাদিক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে প্রশ্ন করতে চাইলে আনোয়ারুজ্জামানের পক্ষ থেকে জামাল আহমদ খান বাধা দিয়ে বলেন, জাতীয় ইস্যু নিয়ে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে কোন প্রশ্ন করতে পারবেন না। সেই সিনিয়র সাংবাদিক যখন জানান যে তিনি কোন জাতীয় ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। মেয়রকে যে প্রশ্নগুলো করা দরকার তিনি শুধু সেই প্রশ্নগুলোই করবেন। এরপর জামাল আহমদ খান সিনিয়র সাংবাদিকের কাছে প্রশ্নগুলো জানতে চান। সিনিয়র সাংবাদিক পাঁচটি গুরুতর অনিয়মের বিষয়ে মেয়রকে প্রশ্ন করার কথা বললে জামাল আহমেদ খান বলেন, আপনি এইসব প্রশ্ন উনাকে করতে পারবেন না। সাংবাদিকদের নৈশ ভোজের নিমন্ত্রণ করে নিয়ে মেয়রকে যে কোন প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়ার কথা বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে এরকম অসৌজন্যমূলক, অসভ্য ও অভব্য আচরণ করা হলে এই অভব্য আচরণের প্রতিবাদে সেই সিনিয়র সাংবাদিক নৈশ ভোজ না করেই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। পরে তিনি ক্লাবের সভাপতি ও সেক্রেটারিকে এ বিষয়ে অবহিত করেন। ঘটনা শুনে সাংবাদিকরা কেউ কেউ বিস্মিত হন, ক্ষুব্দ হন আবার কেউ কেউ বিরুপ মন্তব্য করেন। বিরুপ মন্তব্যকারী সাংবাদিকরা বলেন- ‘আনোয়ারুজ্জামান যেমন নেতা, জামাল তেমন কর্মী। আজকাল এদেরই যুগ। বিভিন্ন অশুভ গ্রহের অবস্থানের ফলে যে অশুভ যোগ তৈরি হয় তাকে বলা হয় অত্যন্ত বিপজ্জনক যোগ বা গ্রহণ যোগ। এই যুগের নাম হলো গ্রহণ যোগ। এখানে নেত্রী চাইলে কেউ প্রেসিডেন্ট হয়ে যাবেন। নেত্রী চাইলে কেউ এমপি, মন্ত্রী, মেয়র হয়ে যাবেন। জনগণের মাথার উপর ছড়ি ঘোরাবেন। এখানে জনগণের কোন চাওয়া-পাওয়া নাই। কোন প্রশ্ন নাই। কোন জবাবদিহিতা নাই। এখানে জনগণের কোন অধিকার নাই।’
মেয়র হয়েই মিডিয়ার কাছে অমেয়রসূলভ বক্তব্য
নির্বাচনের পরে প্রথমবারের মত লণ্ডনে এসে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন- ‘সিলেটে কোন প্রবাসীর বাড়ি ঘরে কেউ হাত দিতে পারবে না। প্রবাসীদের জমিতে হাত দিলে সেই হাত থাকবে না, সোজা মাত।’ কিন্তু আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর এই সোজা মাত কেউ ভালোভাবে নিচ্ছেন না। সিলেটের সচেতন জনগণ বলছেন, একজন মেয়র এরকম অশোভন ভাষায় কথা বলতে পারেন না। এরকম বেআইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন না। এরকম হলে একজন মেয়র আর পাতি মাস্তানের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না। কারো হাত কোন মেয়র কেটে নিতে পারেন না। হাত কেটে নেয়া মেয়রের কাজ না। একজন মেয়র সন্ত্রাসীদের ভাষায় কথা বলতে পারেন না। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর এই বক্তব্য মেয়রসূলভ বক্তব্য না। তার এই বক্তব্য সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য না। প্রবাসীদের বাড়ি ঘর দখলকারী সন্ত্রাসীদের মদদদাতা হিসেবে অতীতে একজন প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতার নাম জানা গেছে। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নিজের বিরুদ্ধেই এরকম অসংখ্য অভিযোগ আছে। একজন প্রবাসী ভুক্তভোগী লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে গত বছর সংবাদ সন্মেলন করে জানিয়েছেন যে, দখলকারীরা যুবলীগ কর্মী জেনে তিনি আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর কাছে বিচার দিয়েছেন। কিন্তু আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিচার না করে উল্টো দখলকারীদের পক্ষ নিয়েছেন। সব শুনে প্রবাসীরা বলছেন, আনোয়ারুজ্জামানকে কারো হাত পা ভাঙতে হবে না। শুধু তাঁর নিজের লোকদের সামলে রাখলেই চলবে। তাঁর নিজের দলের লোকেরা ছাড়া প্রবাসীদের বাড়ি ঘর দখল করার সাহস কেউ পাবে না।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বিস্মিত
দেশে থাকতে যিনি বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদকের বেশি এগুতে পারেননি। সেই তিনি কিভাবে স্থানীয় সকল হেভিওয়েট প্রার্থীকে ডিঙিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলীয় নমিনেশন পেলেন এবং এতগুলো গুরুতর অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে তিনি কিভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন ও বিজয়ী হলেন সেটা ভেবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা আজও বিস্মিত। কিভাবে তিনি শেখ রেহানার ঘনিষ্ঠ হলেন এবং কিভাবে তিনি ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির পরিচালক ছিলেন, কিভাবে এত বিত্ত-বৈভবের মালিক হলেন, কোথায় আলাদিনের চেরাগ পেলেন এসব ভেবে তাদের বিস্ময়ের ঘোর যেনো কাটছেই না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক নেতা কথা প্রসঙ্গে চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘এই যুগে উপরের লেভেলে যার কানেকশন যত বেশি থাকে, যে যত বেশি নেত্রীর পায়ের কাছে বসে থাকতে পারে সেই-ই বিভিন্ন পদ পদবী পেতে পারে, এমনকি মেয়রও হতে পারে। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সব সময় নেত্রীর পায়ে পড়ে থাকত। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে দেখলে আমরা যেখানে শুধু সালাম দিতাম, সেখানে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে পা ছুঁয়ে কদমবুচি করতে দেখতাম। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ ভাই ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক ভাই যদি শুধু সালাম না দিয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পা ছুঁয়ে কদমবুচি করতে পারতেন তাহলে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী না, সুলতান শরীফ ভাই অথবা সাজিদুর রহমান ফারুক ভাই মেয়র হতেন। পা ধরা আনোয়ারুজ্জামানকে মেয়র বানিয়ে নেত্রী আমাদের লজ্জায় ফেলে দিলেন। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রবাসীদের গর্ব না, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রবাসীদের লজ্জা।’