শুভ্রদীপ চক্রবর্তী: ডেইলি ওয়ার্ক লাইফে শরীরের সাথে মস্তিষ্কেও সমান চাপ এসে পড়ছে। এই অত্যধিক চাপের ফলে মাথা ভার, মাথা যন্ত্রনা, কিছু করতে ইচ্ছা না করা সহ নানারকম সমস্যায় জর্জরিত হতে হয়। তাই প্রেসার কমাতে ডায়েটে যোগ করুন এই কয়েকটি খাবার। খাবারগুলোর সঙ্গে ওয়াকিবহল হলেও অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত খান না। তাই মগজে ধার বজায় রাখতে অবশ্যই এই জাত খাবার খেতে হবে।
মাছ
সাধারণত মাছের বিশেষ বৈশিষ্ট এর মধ্যে ভরপুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। আর এই উপাদানের কার্যকারিতা অনেক। মস্তিস্ক সক্রিয় যেমন রাখে তেমিন মানসিক অবসাদ, হতাশা এইসব থেকেও দূরে রাখে। আর মাছ স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং নতুন সেল তৈরিতে সাহায্য করে।
ডিম
ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১২, সেলেনিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড সহ বিভিন্ন প্রোটিন উপাদান। এছাড়া ডিমে থাকা কলিন এবং Docosahexonic অ্যাসিড মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং মস্তিস্ক সচল রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পুই শাক/পালং শাক
সুস্বাস্থ্যের জন্য সব শাকই উপকারী তবে এক্ষেত্রে পুই শাক এবং পালং শাক একটু বেশি উপকারী। এই দুই শাকেই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিনস, মিনারেলস। তাই স্মৃতিশক্তি উজ্জল রাখতে নিয়মিত খান পুই শাক, পালং শাক। উল্লেখ্য, এই দুই শাকের সাথে লাল শাকও সমান উপকারী। এর বিটা ক্যারোটিন স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়।
ফল এবং আখরোট
স্ট্রবেরি, কালোজাম এই দুই ফল মস্তিষ্কের জন্য দারুন উপকারী। এর পুষ্টিকর উপাদান মস্তিষ্কে রোগ প্রতিরোধ এবং কোষের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ওমেগা থ্রি, মিনারেলস এবং ফাইবার নিয়ে তৈরি হয় আখরোট। খরচ সাপেক্ষ হলেও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কার্যকর আখরোট।
কফি
কফিতে রয়েছে ক্যাফিন। আর এই ক্যাফিন ব্রেন সজাগ রাখে অনেক্ষন। শরীরে বাড়তি এনার্জি যোগায়, ফলে কর্মক্ষমতা বজায় থাকে। আবার ডিপ্রেশন থেকে বাঁচাতেও কফি খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তারেরা। তবে নিয়ম মেনে। দিনে দু-তিনবারের বেশি কফি খাওয়া উচিত নয়। মাত্রাতিরিক্ত কফি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।