আগরতলা: প্রথমবারের মত গম রফতানি করা হয়েছে বাংলাদেশে। রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে গম রপ্তানি শুরু হয়েছে। ভারতের অন্যান্য রাজ্য গুলির সাথে ত্রিপুরার ব্রডগেজ রেল লাইনের যোগাযোগ হয়েছে। ফলে বর্তমানে ত্রিপুরায় আগের চেয়ে অনেক কম খরচে পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে। ৬৭ টি ট্রাকে করে মোট ১৩২০ মেট্রিক টন গম পাঠানো হবে বলে জানান আগরতলা ইন্টিগ্রেটড চেকপোস্টের ম্যানেজার দেবাশীষ নন্দী। এই গম রফতানি করার মধ্যে দিয়ে আগরতলা চেকপোস্ট-এর গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে আগরতলা চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টে পতাকা নেড়ে রফতানি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। পরে রফতানির বিষয়ে দেবাশীষ নন্দী জানিয়েছেন দেশের অনান্য রাজ্যের সঙ্গে ব্রড গেজ ট্রেন লাইন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। ফলে রাজ্যে ট্রেনে করে পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে খুবই স্বল্প মূল্যে। আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের আমদানি- কারকদের পণ্য পরিবহন করার ব্যয় এবং সময় কমে যাবে এই নিয়ে আলোচনা চলছিল অনেকদিন ধরে। এই সুবিধা যাতে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি করা যায় তার জন্যে আমদানি এবং রফতানিকারকদের উত্সাহিত করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রফতানিকরার ক্ষেত্রে চারশো বিলিয়ন ডলার টার্গেট রাখার ঘোষণা করেছেন। এর পরেই এই আগরতলা চেকপোস্ট দিয়ে গম রফতানি করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির একটি পণ্য রফতানিকারক সংস্থা বাংলাদেশে গম রফতানি করছে। তারা আগে অন্য চেকপোস্ট দিয়ে এই কাজটি করেছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে ট্রেনে করে গম আনা হয় ত্রিপুরায় আজ প্রথম দিনে ৩০ টি ট্রাক গিয়েছে। এখন এখান দিয়ে কম খরচে রফতানি করা যাবে জেনে এই চেকপোস্ট ব্যবহার করছেন।
উল্লেখ্য, আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট থেকে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে বাংলাদেশের বড় বড় শহর গুলি রয়েছে। ফলে খুব সহজেই পণ্য গুলি অল্প সময়ে পণ্য গুলি পাঠানো যাবে। এই স্থলবন্দরটি ভৌগলিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এই চেকপোস্ট দিয়ে বর্তমানে মোট ৪০ রকমের পণ্য রফতানি করা যাচ্ছে। দেবাশীষ নন্দী আশা প্রকাশ করেন আগামী দিনে এই চেকপোস্ট দিয়ে আরও পণ্য রফতানি করা যাবে। এতে বাংলাদেশের জনগণ উপকৃত হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন দেবাশীষবাবু।