কমিউনিটি নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় কাতারের মানবাধিকার কমিটির সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে দু’দেশের মানবধিকার সংস্থার মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে এ সহযোগিতা চাওয়া হয়।
কমিশনের পক্ষে সমঝোতা স্মারক সই করেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত হয়ে কাতারের মানবাধিকার কমিটির পক্ষে সমঝোতা স্মারক সই করেন ড. মোহাম্মদ সাইফ আল কুয়ারি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত কাতার দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স সাঈদ জারাল্লাহ আল-সামিখ, কাতার মানবাধিকার কমিটির মহাসচিব সুলতান আল জামালি প্রমুখ।
এই সমঝোতা চুক্তির আওতায় দুই দেশের মানবাধিকার কমিশন-কমিটি আন্তর্জাতিক কনভেনশনের আলোকে নিজ নিজ জাতীয় আইনি কাঠামো শক্তিশালীকরণ, মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং যৌথ গবেষণা সম্পাদন, যৌথভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি ও মিডিয়া কার্যক্রম গ্রহণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম যৌথভাবে সম্পাদন করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বিশেষত প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় কাতার ও বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একযোগে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জাতীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিজ নিজ দেশের মানবাধিকার সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। আমি আশা করবো, এ সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কাতার মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় সমৃদ্ধ করবে।
সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর দুই কমিশনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় কাতারের মানবাধিকার কমিটির সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া আন্তর্জাতিক ভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে এ স্ট্যাটাস প্রাপ্তির বিষয়ে কাতারের মানবাধিকার কমিশন সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, কাতারের জাতীয় মানবাধিকার কমিটির চেয়ারপারসন গ্লোবাল এলায়ন্স অব ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনসে চেয়ারপারসন। কাজেই বাংলাদেশের কমিশনকে এ স্ট্যাটাস প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কাতারের মানবাধিকার কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ফলে, এ সমঝোতা স্মারক সই আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।