টোকিও: অলিম্পিকের দিন যত এগিয়ে আসছে তত গেমসের বিরোধীতায় জাপানের বিভিন্ন মহলের কন্ঠস্বর জোরালো হচ্ছে। ইতিমধ্যে টোকিও মেয়রের কাছে গেমস বাতিলের দাবিতে পিটিশন জমা পড়েছে। কোভিড উদ্বেগে ধুঁকছে সেদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। এমন সময় অলিম্পিক বাতিলের দাবিতে সরব হয়েছে টোকিওর চিকিত্সক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে অলিম্পিক আয়োজন ঘিরে চলতে থাকা সংঘাতের মাঝেই বড়সড় ঘোষণা করল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি।
প্রয়োজনে টোকিওয় জরুরি অবস্থার মধ্যেও আয়োজিত হবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ অলিম্পিক। শুক্রবার এমনটাই ঘোষণা করলেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির এক শীর্ষ আধিকারিক। হাতে বাকি আর মাত্র ৯ সপ্তাহ। এমন সময় গেমস নাকি দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার বোঝা হয়ে উঠতে পারে। টোকিও তথা জাপানের চিকিত্সকমহলের দাবি তেমনটাই। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজকদের সঙ্গে সম্প্রতি তিনদিনের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে গেমস আয়োজনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির। এরপরেই বদ্ধপরিকর আইওসি প্রয়োজনে জরুরি অবস্থাতেও গেমস আয়োজনের বিষয়টি ঘোষণা করেছে।
এরইমধ্যে আবার গেমস আয়োজন ঘিরে আশার আলো দেখা দিয়েছে একটি সংবাদে। ২০২৪ অলিম্পিক আয়োজক দেশ ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এমানুয়েল ম্যাক্রন টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে খবর। তবুও সংবাদসংস্থা রয়টার্সের সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য বেশ চিন্তায় রাখবে আয়োজকদের। কারণ সেদেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ এখনও অলিম্পিক আয়োজনের বিরোধীতা করছেন। বাতিল না হলেও অন্তত পিছিয়ে যাক গেমস, এমনটাই দাবি তাদের।
তবে আইওসি সহ-সভাপতি জন কোয়াটেস জরুরি অবস্থাতেও গেমস আয়োজনের প্রশ্নে বলেন, ‘নিশ্চয় হবে। আমরা সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে অ্যাথলিট এবং সাধারণের নিরাপত্তার পরিকল্পনা করে রেখেছি।’ একইসঙ্গে অলিম্পিক ভিলেজগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকা ৮০ শতাংশ মানুষকে গেমস শুরুর আগে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন তিনি। কোয়াটেসের কথায়, জাপানে সাধারণ মানুষ অপেক্ষাকৃত অনেক কম হারে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন বলে এই বিরোধীতা।
ভ্যাকসিন প্রদানে অগ্রগতি ঘটলে মানুষ বিরোধীতা থেকে সরে আসবে বলে মত তাঁর। কিন্তু সেকথা ভেবে নিজেরা পিছিয়ে থাকতে রাজি নন বলে জানিয়েছেন কোয়াটেস। তারা তাদের কাজ এবং জাপানের মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর বলেই দাবি কোয়াটেসের।