কমিউনিটি নিউজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রদর্শন বন্ধের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য লন্ডন বরো অফ টাওয়ার হ্যামলেটসে একটি পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছে।
‘প্যালেস্টাইন ইনফরমেশন সেন্টার অফ টাওয়ার হ্যামলেটস’ এর দায়ের করা এই পিটিশনের লক্ষ্য হল ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে সংহতি জানিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি এবং টাওয়ার হ্যামলেটসে ফিলিস্তিনের বিষয়ে বাকস্বাধীনতা রক্ষা ও সমর্থন করা। একইসাথে নাকবা দিবসসহ ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশার বিষয়ে সচেতনতাকে উত্সাহিত করার জন্য একটি বার্ষিক প্যালেস্টাইন উৎসবের আয়োজন করা।
এ উপলক্ষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ‘প্যালেস্টাইন ইনফরমেশন সেন্টার অফ টাওয়ার হ্যামলেটস’ এর উদ্যোগে লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সন্মেলনে প্যালেস্টাইন ইনফরমেশন সেন্টারের পক্ষ থেকে আজমল মাসরুর বলেন- “টাওয়ার হ্যামলেটসের ইস্ট এন্ড এই সংগ্রামের অগ্রভাগে রয়েছে যা কেবল স্ট্রিট থেকে ব্রিকলেন এবং তার বাইরেও আমাদের অনুভূতি, কাজকর্ম এমনকি জীবনকে সংজ্ঞায়িত করেছে৷ ফিলিস্তিন হল আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় নৈতিক বিষয়। টাওয়ার হ্যামলেটস-এর লোকেরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বিশ্বাস করে যে ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজস্ব একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে অস্তিত্ব রক্ষার ও বসবাসের অধিকার রয়েছে।
তিনি সবাইকে পিটিশন স্বাক্ষরের আহবান জানিয়ে বলেন- ‘এই পিটিশনে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে আমরা চাই যে, শেফিল্ড সিটির পরে ইউনাইটেড কিংডমের দ্বিতীয় কাউন্সিল হিসেবে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ফিলিস্তিনকে স্থানীয়ভাবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিক ও স্বীকৃতিটি উল্লেখ করে পররাষ্ট্র দপ্তরে একটি চিঠি পাঠাক এবং আমাদের রাস্তাগুলোতে কোন রকম বাধা ছাড়া ফিলিস্তিনের পতাকা উড়ানোর নিশ্চয়তা দিক।”
উল্লেখ্য, টাওয়ার হ্যামলেটস প্যালেস্টাইন ইনফরমেশন সেন্টার ২০২৩ সালের নভেম্বরে টাওয়ার হ্যামলেটসে ৭০০ জনেরও বেশি লোকের বৈঠকের পরে প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং সভায় উপস্থিত সবাই ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়িলের বর্বরতা বন্ধের বিরুদ্ধে স্থানীয় ও ব্যক্তিগত ভাবে পদক্ষেপ নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।
প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য লন্ডন বরো অফ টাওয়ার হ্যামলেটসে পিটিশন স্বাক্ষরের লিংক: