আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের পরিস্থিতি তদন্তের জন্য পাঁচ দেশের কাছ থেকে একটি যৌথ অনুরোধ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম খান।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, বলিভিয়া, কমোরোস এবং জিবুতি যৌথভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ওই আবেদন করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, ফিলিস্তিনের বর্তমান গুরুতর পরিস্থিতিতে আইসিসি যেন জরুরি ভিত্তিতে মনোযোগ দেয়, তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
প্রসিকিউটর করিম খান গত মাসে বলেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে হামাস যে হামলা চালিয়েছে এবং তার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় যে বোমা হামলা চালিয়ে আসছে, তা তদন্তের বিচারিক এখতিয়ার আইসিসির প্রসিকিউশন অফিসের রয়েছে।
আইসিসির প্রসিকিউটরের দপ্তর একটি বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে এবং ফিলিস্তিনিদের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটনের ‘উল্লেখযোগ্য তথ্য ও প্রমাণ’ তারা ইতোম্যে সংগ্রহ করেছে।
ইসরায়েল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। ফলে এ আদালতের বিচারিক এখতিয়ারকেও স্বীকৃতি দেয় না দেশটি।
করিম খান জানিয়েছেন, ২০০২ সালে যে রোমান সংবিধির ওপর ভিত্তি করে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই সংবিধি অনুযায়ী কোনো সদস্যরাষ্ট্র যদি বাইরের কোনো রাষ্ট্রের হামলার শিকার হয় এবং ওই হামলাকারী রাষ্ট্র যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সনদে স্বাক্ষরকারী কিংবা স্বীকৃতি দানকারী দেশ না ও হয়- তাহলেও ওই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে আইসিসি।
ফিলিস্তিন অঞ্চল ২০১৫ সাল থেকে আইসিসির সদস্য। সে কারণেই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত দিয়েছিল আইসিসি।