হাইলাইটস
- বিহারে বজ্রপাতে ১৮ জনের মৃত্যু
- চলতি বছর বিহারে সবমিলিয়ে ৩৩০ জন মারা গিয়েছে বজ্রপাতে
- সরকারি রিপোর্ট বলছে, ২৪ জুন গোটা বিহারে ১০০ জন বজ্রপাতের বলি
ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত যে হতে পারে, তা নিয়ে আগাম সতর্ক করেছিল আবহাওয়া দফতর। বাড়ির বাইরে বেরোলেও দুর্যোগের সময় লোকজনকে খোলা জায়গায় দাঁড়াতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু, আগাম সতর্কতা সত্ত্বেও বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকানো গেল না। মঙ্গলবার বিহারের ১০ জেলায় বাজ পড়ে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিহারের মধুবনী, কাটিহার ও গয়ায় বজ্রপাত ডিটেকশন কেন্দ্র তৈরি করেছে সরকার। সেখান থেকে লোকজনকে সতর্কও করা হচ্ছে। কিন্তু, বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। চলতি বছর এ পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক মানুষ প্রকৃতির রোষানলের শিকার। দুর্যোগ এখনও না কাটায়, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
সরকারি সূত্রে খবর, বৈশালি জেলার রাঘবপুর ব্লকে বজ্রপাতে ৪ জন মারা গিয়েছেন। রোহতাস, ভোজপুর, গোপালগঞ্জ ও সারান জেলায় ২ জন করে মারা গিয়েছেন। পটনা, বেগুসরাই, আরারিয়া, সুপাউল, কাইমুর ও অন্য আর একটি জেলায় একজন করে বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন।
বিহার সরকারের রিপোর্ট বলছে, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ৩৩০ জনেরও বেশি মানুষ বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে শুধু ২৪ জুন সরকারি হিসেবে ১০০ জন মারা গিয়েছেন। সরকারি আধিকারিকরা রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে জানিয়েছেন, দুর্যোগের সময় লেক, পুকুর, গাছাপালা থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। বিদ্যুত্তের ধাতব খুঁটি থেকেও দূরে থাকতে বলা হয়েছে। মেঝেতে শুতেও বারণ করা হয়। এমন বিরূপ আবহাওয়ার দিনগুলিতে খুব প্রয়োজন ছাড়া দুর্যোগ মাথায় নিয়ে লোকজনকে বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। সূত্র: এই সময়