মো: আসলাম হোসাইন: বড়দিনে নিরাপত্তার উপর জোর দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। শহরজুড়ে ৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে বড়দিনে। মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে থাকবে মহিলা পুলিশের উইনার্স টিম।
সামনেই বড়দিনের উৎসব। তারপর বর্ষবরণ। এই দুটি উৎসব মানেই পার্কস্ট্রিট। এই দুটি উৎসবকে ঘিরে রংবেরঙের আলোয় সেজে উঠেছে পার্কস্ট্রিট থেকে শুরু করে অ্যালেন পার্ক। প্রতিবছর বড়দিনে মানুষের আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকে পার্কস্ট্রিট, ভিক্টোরিয়া, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চ, চিড়িয়াখানা, ময়দান প্রভৃতি এলাকা। কার্যত জনজোয়ার নামে শহরের রাস্তায়। কোভিড পরিস্থিতির কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় গতবছর ভিড় কম হলেও রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছিল অসংখ্য উৎসব প্রিয় মানুষকে। এবছর পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। ফলে এবার শহরের রাস্তায় জনজোয়ার দেখা দিতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। ভিড় মানেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সেই কারণে প্রতিবছরের মতো এবারও বড়দিনে নিরাপত্তার উপর জোর দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। শহরজুড়ে ৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে বড়দিনে। মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে থাকবে মহিলা পুলিশের উইনার্স টিম।
এছাড়াও, থাকছে ১১ টি ওয়াচ টাওয়ার। এর মাধ্যমে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালাবে। সেইসঙ্গে থাকছে সিসিটিভির নজরদারি। মানুষ যাতে পুলিশের কাছে সহজেই অভিযোগ এবং সমস্যার কথা জানাতে পারে তার জন্য থাকছে ১৫টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র। ২টি ক্যুইক রেসপন্স টিম যেকোনও অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
শপিং মল এবং চার্চগুলিতেও থাকছে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা। এছাড়াও পার্কস্ট্রিটে মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে।
মেট্রো স্টেশনে যেমন থাকবে আরপিএফের নিরাপত্তা, তেমনিই মেট্রো স্টেশনের বাইরে নজরদারি চালাবে কলকাতা পুলিশ। ভিড়ের মধ্যে টহলদারি চালাবে কলকাতা পুলিশের মহিলাদের উইনার্স টিম। মোটরসাইকেলে করেও পেট্রোলিং চালাবে পুলিশ। এছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশ ঘুরে বেড়াবে।
অন্যদিকে, প্রতিবছর এই দিনগুলোতে পানশালায় ভিড় জমে। সে ক্ষেত্রে পানশালার ভিতরে কোভিড বিধি যাতে মানা হয় তা নিয়ে নজরদারি চালাবে পুলিশ। একইসঙ্গে, মাইকিং করে কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য সাধারণ মানুষকে অনুরোধ জানাবে পুলিশ।