আগরতলা: কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আহূত মঙ্গলবারের ভারত বনধ-এর প্রভাব ত্রিপুরায় তেমন পড়েনি। যানবাহন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক ছিল। অফিস-আদালত, সুকল-কলেজও খোলা ছিল। তবে, সুকল-কলেজে এদিন উপস্থিতির হার অনেক কম ছিল। তেমনি, রাস্তায় যাত্রী সংখ্যা অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। কিন্তু, সরকারি অফিসে হাজিরা ছিল যথেষ্ট। শাসক-বিরোধী উভয় দল এ-দিন বনধ-এর পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল বের করেছে। উভয় পক্ষই বনধ সাফল্য বলে দাবি করেছে।
এদিন সকালে নাগেরজলা বাস স্ট্যান্ডে যান চালকদের দেখে মনে হয়েছে ত্রিপুরায় বনধ পালিত হচ্ছে না। কিন্তু, বেলা যত গড়িয়েছে বড় যাত্রীবাহী গাড়ির সংখ্যা ততই কমেছে। সকালের দিকে অনেকেই স্ট্যান্ডে গাড়ি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে ছোট গাড়ি বেশি যাতায়াত করতে দেখা গেছে। যান চালকদের দাবি, ত্রিপুরায় বনধ-এর ছিটেফেঁটাও নজরে আসছে না। অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতোই যান চালকরা স্ট্যান্ডে এসেছেন। গাড়িতে যাত্রীও রয়েছেন।রাজধানী শহর আগরতলায় কিছু দোকানপাট সকালের দিকে খুলেনি। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে সেই সব দোকানপাট খুলতে শুরু করে। কিছু জুয়েলারি দোকান এদিন পুরো ঝাঁপ ফেলে রেখেছে। এছাড়া জামা-কাপড়, প্রসাধনী ইত্যাদির দোকান অনেকটাই খোলা। রাজধানী আগরতলায় অটো, প্যাডেল রিকশা অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ভাবে রাস্তায় চলাচল করছে। তবে, কোলাহল অনেকটা কম ছিল আজ।
অবশ্য, প্রত্যন্ত এলাকা অনেকটা জনশূন্য হয়ে রয়েছে। বিভিন্ন বাজার আজ খুলেনি। ধলাই জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা গেছে। এছাড়া অন্য জেলায় মানুষের চলাফেরা দেখা যাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু, স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কম। বিশেষ প্রভাব পড়েছে এডিসি সদর খুমুলুঙে। এডিসি-র প্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন দফতরে এদিন কর্মচারীদের হাজিরা অনেকটা কম ছিল।