লাখিমপুর (অসম): এমনিতেই বন্যাবিধ্বস্ত হয়েছে অসম। নতুন করে বন্যা হয়েছে অসমের লাখিমপুর এবং ধীমাজি জেলায়। শুক্রবার বন্যার জলে ডুবে গিয়ে লাখিমপুরে নতুন করে দু’জনের প্রাণ গিয়েছে। এ বছরে বন্যায় এখনও রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১১২ জন।
নতুন করে বন্যায় লাখিমপুর এবং ধীমাজী এলাকায় ২৯০০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, সিনগোরি, রঙ্গানাদীর জলে দুই জেলায় কমপক্ষে ৫৪টি গ্রাম ডুবে গিয়েছে। ৩০০০ হেক্টরের বেশি চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
লাখিমপুরের দালুহাট অঞ্চলে সিংগোরি নদীর জলে রাস্তার একটি অংশ চলে গিয়েছে পাশাপাশি আরও সাতটি রাস্তা একই জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকেই তাঁদের ঘরছাড়া হয়েছেন। চলতি বছরে মোট ৩০ জেলায় ৫৭ লাখ মানুষ কমপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যার জল থেকে বাঁচতে অন্যত্র চলে গিয়েছেন একাধিক গ্রামের মানুষ।
জানা গিয়েছে, লাখিমপুর জেলার নারায়নপুর এলাকায় একজন ব্যাক্তি নদীতে মোটর সাইকেল থেকে পরে যান যখন তিনি বাঁশের তৈরি একটি ব্রিজ পার করার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় ব্রিজটি ভেঙে যায়।
তবে করোনা আবহে সামাজিক দূরত্ববিধি মানা থেকে শুরু অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ত্রাণ শিবিরগুলিতে কার্যত শিকেয় ওঠার জোগাড়। ইতিমধ্যেই বন্যার জলের তলায় চলে গিয়েছে লক্ষাধিক হেক্টর চাষের জমি। রাজ্যের প্রায় ৩ হাজার গ্রাম এখন জলের তলায়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের ধুবরি, লক্ষ্মীপুর, বিশ্বনাথ, দারাং, বকসা, নলবাড়ি, বরপেটা, ধীমাজি, কোকরাঝাড়, চিরাং, গোলাঘাট, জোড়হাট, মাজুলি, শিবসাগর, ডিব্রুগড়-সহ একাধিক জেলা বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা কার্যত শিকেয় উঠেছে বন্যা দুর্গত এলাকাগুলিতে। এই পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক চেহারা নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।