নেপাল সীমানা সংলগ্ন জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার ব্যর্থতায় বিহার সরকারের আধিকারিকদের দুষছে জলসম্পদের পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটি।
সূত্রের খবর, পার্লামেন্টারি কমিটি মনে করে খারাপ রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্যাপরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হয়েছে। রাজ্যের ১৬ জেলায় ৮১.৪৪ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নীতিশ কুমার সরকার যদিও নেপালের উপর দায় চাপিয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল জানিয়েছে, প্রতিবেশি দেশে উত্স এমন নদীগুলির জল বিহারে ঢুকে পড়েছে। আরও খারাপ করেছে পরিস্থিতি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটি রাজ্যের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তত্পরতা আরও বাড়াতে বলা হয়েছে। সীমান্ত অঞ্চলের জেলাগুলি এবং নদীর জলসীমা এবং উদ্ধারকাজ সবদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও নদীর পাড় ভাঙার বিষয়টিতে আলাদা করে নজর দিতে বলা হয়েছে। ভারত-নেপাল সীমানা লাগোয়া কিছু অঞ্চল ধুয়ে মুছে গিয়েছে। এবিষয়ে আলাদা করে নজর দিতে বলা হয়েছে।
দ্বারভাঙা, মুজফফরপুর, সীতামারী, সুপাল, কৃষ্ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণ, সরণ, সিয়ান এইসব জেলা বন্যায় মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার জল ক্রমশ বাড়তে থাকায় একরের পর একর চাষের জমি ডুবে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলের।
গত শনিবার বিহারের বিভিন্ন বন্যা কবলিত জেলা যেমন ভাগলপুর, দ্বারভাঙা, পূর্ণিয়া, মুঙ্গের এবং কোশি ডিভিশনের পরিস্থিতি হেলিকপ্টারে করে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সেই সঙ্গে প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে গণ্ডক গ্যারেজের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়ার। এর পাশাপাশি বন্যা বিধ্বস্ত এলাকাগুলির কোভিড পরিস্থিতি কেমন সে ব্যাপারেও আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়াও কোশি নদীর পূর্বভাগের বাঁধের এবং পাড়ের বন্যায় কী অবস্থা হয়েছে তাও খতিয়ে দেখেন তিনি।
বর্তমানে ১২,৬৭০ জন ১০টি ত্রাণশিবিরে রয়েছেন। ৫.৮৫ লাখ মানুষকে খাবার দেওয়া হয়েছে। চলছে ৭২৩টি কমিউনিটি কিচেন। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলি থেকে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। বর্ডার এরিয়া ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির অনুরোধে একাধিক পদক্ষেপ নিতে পারে নীতি আয়োগ।